৯ মাসের মাথায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ হারিয়েছেন ফারুক আহমেদ। সভাপতির পদ থেকে তাকে অন্যায়ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে গত রবিবার দেশের একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। এর পেছনে বিসিবির তিন পরিচালক ফাহিম সিনহা, ইফতেখার রহমান মিঠু এবং নাজমুল আবেদীন ফাহিমরা ষড়যন্ত্র করেছেন বলে জানান বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
ফারুকের এমন মন্তব্য ভিত্তিহীন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ফাহিম সিনহা।
তার কাছে প্রমাণ থাকলে প্রমাণ দিক এমনটা জানিয়ে বিসিবি পরিচালক বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট করে তিনজনের নাম বলতেছে। এটার কারণ কী হতে পারে। কারণটা আমরা খুব প্রসেস মেইনমেন্ট করা করপোরেট মানুষ। অনিয়মগুলা আমাদের চোখেই বেশি পড়বে। ফাইন্যান্স কমিটিতে থাকার ফলে আমি কাগজপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে নাকি অসহযোগিতা করেছি। সাবেক সভাপতি যদি বলতে পারে একবারও উনি কাগজ চাইলে আমি তাকে সরবরাহ করিনি তাহলে প্রমাণ দিক।’
সর্বশেষ বিপিএলে একক সিদ্ধান্তে অনেক কিছু করেছেন বলেও জানান ফাহিম। তিনি বলেছেন, ‘আমরা তদন্ত করি এটার কিছু তথ্য আমি ইতিমধ্যে দেখেছি। বোর্ড থেকে যে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার আগে কম্পানির কাছে ডকুমেন্ট দেওয়া হয়েছে তা দেখেছি। আপনি এক ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ইতিমধ্যে নিশ্চিত করেছেন। সে হিসেবে তারা দলও গোচ্ছাচ্ছে, এরপরে পেমেন্ট নেগোসিয়েশন সব হওয়ার পরে যখন মিটিং হবে তখন কী আমরা বলতে পারব তার প্রফাইলটা আমাদের দেখান আমরা মানি না।’
বিসিবির টাকা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকে সরানোর বিষয়টা জানতে বলে স্বীকার করেছেন ফাহিম। তবে তিনি জানান, নেগোসিয়েশনের সব কাজ ফারুক একাই সেরে শেষ মুহূর্তে তাদের সই করতে বলেন।
বিসিবির পরিচালক বলেছেন, ‘রেড জোন থেকে ইয়েলোতে (টাকা) সরানোটা খুব জরুরি ছিল। মাঝখানে যে ডকুমেন্টেশন বা নেগোসিয়েশেন হয়েছে আমাদের আর একজন সিগনেটরি আগেও পরিষ্কার করেছেন। যেই পর্যায়ে আমাদের কাছে আসছে এবং ব্যাংকের সঙ্গে নেগোসিয়েশনসহ সব কাগজগুলো শেষ মুহূর্তে আমাদের কাছে এসেছে।’
আরআর/টিএ