জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘আমরা চায় না বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী সংবিধানে বাংলাদেশ পরিচালিত হোক। আমরা নতুন সংবিধান প্রত্যাশা করি।
সেই প্রত্যাশার জায়গা থেকে সামনের দিনে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে এসে, তারা যাতে বাংলাদেশকে একটি নতুন সংবিধান উপহার দিতে পারে, সেই নতুন সংবিধান প্রণয়নের ম্যানডেটসহ গণপরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।’
শুক্রবার (৬ জুন) রংপুরে এনসিপির একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা মনে করি, জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ বস্তবায়ন হওয়ার পরে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করা হলে, নির্বাচনের প্রত্যাশা পূরণ হতো। সরকার যে সময়সীমার কথা বলেছে এই সময়সীমার মধ্যে সংস্কার ও বিচারকে দৃশ্যমান করে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদকে বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড এবং মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা যদি নিশ্চিত করতে পারে, সরকার এপ্রিলের মধ্যে যে নির্বাচনের কথা বলেছে, তাতে আমাদের তরফ থেকে কোনো আপত্তি নাই।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, ২০২৪ সালে আমাদের অনেক ভাইরা জীবন দিয়েছেন, আমাদের সমানে অনেক আহত ভাইরা বসে আছেন, অনেক যোদ্ধারা যারা এই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছেন তাদের সবার প্রত্যাশা বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি আগে যেভাবে পরিচালতি হয়েছে, যে মাফিয়াতন্ত্র, জুলুমতন্ত্র, ফ্যাসিবাদের বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ আর নয়, একটি সত্যিকারে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমাদের উপহার দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু প্রতিষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন নয়, আমরা বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেন গণতন্ত্র পতিষ্ঠিত হয়— বাংলাদেশের সংবিধান, রাষ্ট্রীয় কাঠামো, বিচার বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনসহ প্রত্যেকটা জায়গায় যেন গণতন্ত্রের ছোয়া আসে— মানুষের অধিকার বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা আসে— এই প্রত্যেকটা বিষয়কে সংস্কারের মাধ্য দিয়ে নিশ্চিত করে সংস্কারের দিকে অগ্রসর হতে হবে।’
আরএম