মার্ভেল স্টুডিওস আবারও বড় বাজি ধরেছে, আর এবার সেটা যেন ইতিহাস গড়ার মতো। শোনা যাচ্ছে, আসন্ন ছবি 'অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে' হতে চলেছে শুধু মার্ভেল জগত নয়, গোটা সিনেমার ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি! এমনকি খরচের দিক থেকে এটি ছাড়িয়ে যাবে 'স্টার ওয়ার্স: দ্য ফোর্স অ্যাওয়েকেনস' বা 'অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার'-কেও।
আনুমানিক বাজেট ৫ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মতো! শুধু অভিনয়শিল্পীদের পারিশ্রমিকেই ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটির বেশি। ‘আয়রন ম্যান’ চরিত্রে রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের ফিরে আসা, বহু পুরনো চরিত্রের ফিরে আসা এবং মাল্টিভার্সের বিস্তার — সব মিলিয়ে এই ছবি যেন এক বিশাল বিনিয়োগের ঝুঁকি।
এত বিপুল খরচের কারণও রয়েছে। থাকছে গগনচুম্বী কম্পিউটার গ্রাফিক্সে তৈরি যুদ্ধের দৃশ্য, বহু সময়রেখা ও সমান্তরাল মহাবিশ্বে ঘুরে বেড়ানো এক জটিল গল্প, এবং বিশ্বের নানা দেশে বিস্তৃত চিত্রগ্রহণ। এটি শুধু আরেকটি পর্ব নয় — যেন 'এন্ডগেম', 'ইনফিনিটি ওয়ার' আর 'মাল্টিভার্স অফ ম্যাডনেস' একসাথে মিলিয়ে একটি মহাযুদ্ধ।
তবে এখানেই শেষ নয়। এই ছবি শুধু লাভে যেতে নয়, খরচের জায়গা মেটাতেই দরকার অন্তত ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি আয়ের।
বাজারজাতকরণ ধরলে মোট খরচ দাঁড়াবে প্রায় ৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা — যা এক কথায় হলিউডের সবচেয়ে বড় আর্থিক ঝুঁকি।
সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে, 'অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে' মার্ভেলের জন্য এক নির্ণায়ক লড়াই। যেখানে ঝুঁকি আকাশছোঁয়া, তেমনি সম্ভাবনাও বিশাল।
এখন বড় প্রশ্ন — মার্ভেল কি এই বাজি জিতবে? নাকি এই ছবিই হয়ে উঠবে তাদের সবচেয়ে বিপজ্জনক অধ্যায়? উত্তর দেবে সময়ই।
আরএম