২০২৪ সাল ছিল কৃতি শ্যাননের জন্য অভিনয়জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বছর। একের পর এক ভিন্ন ঘরানার ছবিতে নিজেকে প্রমাণ করার পর এবার তিনি শেষ করলেন এই বছরের সবচেয়ে আবেগঘন এবং মানসিকভাবে ক্লান্তিকর কাজ—নতুন প্রেমধর্মী ছবি তেরে ইশক মে-এর শ্যুটিং।
সম্প্রতি মুম্বাইতে ছবিটির শেষ ধাপের শ্যুট শেষ হয়েছে। প্রযোজনা সংস্থা ম্যাডক ফিল্মস সূত্রে জানা গেছে, এই ছবিতে কৃতি শ্যাননের পারফরম্যান্স ছিল সাহসী, তীব্র ও আত্মনিবেদিত। এমনকি ছবির নির্মাতা দলের একজন জানিয়েছেন, এই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি যেন নিজেকে সম্পূর্ণ উজাড় করে দিয়েছেন, আর এই অভিজ্ঞতাকে তুলনা করা হচ্ছে এক ম্যারাথনের সঙ্গে।
ছবির গল্প নিয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও, প্রোডাকশন ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, এটি হবে এমন এক প্রেমের গল্প, যা রোমাঞ্চ, আত্মিক দ্বন্দ্ব এবং আবেগে টইটম্বুর। বলা হচ্ছে, এই প্রেম কোনও রূপকথার নয়, বরং এমন এক আবেগময় গল্প, যা চরিত্রকে ভেঙে চুরে নতুন রূপে গড়ে তোলে।
গত ১৮ মাস ধরে কৃতি শ্যানন নিজের অভিনয় যাত্রায় বিস্ময়কর বৈচিত্র্য দেখিয়েছেন। কখনও রোবটের ভূমিকায়, কখনও সাহসী বিমানসেবিকা হিসেবে, আবার কখনও দ্বৈত চরিত্রে দুই বিপরীত মেরুর প্রকাশ ঘটিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন—এই সময়ের সবচেয়ে বহুমাত্রিক অভিনেত্রী তিনিই। তেরে ইশক মে হতে চলেছে তার সবচেয়ে অনুভবনির্ভর কাজ, যা তাকে আরও বেশি পরিণত অভিনেত্রীর কাতারে পৌঁছে দেবে।
প্রেম-ভিত্তিক হলেও এই ছবি যেন এক আত্মবিশ্লেষণের গল্প। এখানেই লুকিয়ে থাকতে পারে নতুন এক কৃতি শ্যাননের জন্ম। যার অভিনয়ে থাকবে সংবেদনশীলতা, বাস্তবতা এবং এক ধরনের আত্মিক তীব্রতা।
২০২৫ সালকে সামনে রেখে কৃতির হাতে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, থ্রিলার, রোমাঞ্চ এবং বাস্তবধর্মী জীবনের ছায়া পড়া ছবি—সব কিছুরই মিশেল। সবকিছু ঠিকঠাক চললে, তেরে ইশক মে হতে পারে সেই ছবি—যা তাকে শুধুমাত্র নায়িকা থেকে শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেবে।
শ্যুটিং শেষ, এখন অপেক্ষা শুধু মুক্তির। তবে ইতোমধ্যেই বলিউডের আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে এই ছবিটি—এবং কৃতি শ্যাননের এক সাহসী রূপান্তরের গল্প।
এসএম/টিএ