লখনউ শহরের গলি, চায়ের দোকান, পারিবারিক টানাপোড়েন আর আনন্দ-বেদনার চোরাস্রোত, সবকিছু মিলিয়ে শুরু হয়েছে এক নতুন চলচ্চিত্রের শ্যুটিং। নাম পরিবারিক মনোরঞ্জন। আর এই ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একই পর্দায় দেখা যাবে পঙ্কজ ত্রিপাঠী ও অদিতি রাও হায়দারিকে—দুই ভিন্ন ধাঁচের অভিনয়শিল্পী, যাদের একসঙ্গে দেখা এক চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা হতে চলেছে দর্শকের জন্য।
ছবিটি মূলত একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনের রসঘন কাহিনি, যেখানে হাসি, অস্থিরতা, ভালোবাসা আর চিরচেনা সাংসারিক বিশৃঙ্খলা মিলেমিশে তৈরি হবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। পরিচালক বরুণ ভি. শর্মার কথায়, ‘‘একটা ভারতীয় পরিবারের দৈনন্দিন জীবনের বিশৃঙ্খলাই হতে পারে সবচেয়ে হাস্যরসপূর্ণ ও সংবেদনশীল জায়গা।’’
পঙ্কজ ত্রিপাঠী চরিত্র ও গল্প নিয়ে জানিয়েছেন, এই কাহিনিতে এক ধরনের নির্ভেজাল সারল্য রয়েছে, যা ধীরে ধীরে মন ছুঁয়ে যায়। আর অদিতি রাও হায়দারির কথায়, চিত্রনাট্য পড়ে তার মুখে এক ঝলক হাসি এসেছিল।
পঙ্কজের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা তিনি তুলনা করেছেন জীবন্ত প্রশিক্ষণের সঙ্গে, যেখানে স্থিরতা ও উপস্থিতি শেখার মতো জিনিস।
চিত্রনাট্য লিখেছেন ব্রিজেন্দ্র কালা ও বরুণ ভি. শর্মা। প্রযোজনা করছেন ভানুশালী স্টুডিওস ও এএএজেড ফিল্মস। ছবির সৃজনশীল দায়িত্বে রয়েছেন আলি আব্বাস জাফর—বর্তমান প্রজন্মের বিষয়বস্তুনির্ভর সিনেমার এক সুপরিচিত মুখ।
এই ছবিতে শুধু চরিত্র নয়, শহর লখনউ নিজেই হয়ে উঠেছে আরেকটি অনিবার্য অংশ। কোঠির বারান্দা, টিনের গলি, চায়ের কাপে কথার ঝড় আর নরম আলোয় ভেজা রাতজাগা শহরের অনুভব মিলবে প্রতিটি দৃশ্যে। যেন এই শহরকেও আলাদা করে ভালো না বেসে উপায় থাকবে না।
পরিবারিক মনোরঞ্জন এমন এক চলচ্চিত্র হতে চলেছে, যা একইসঙ্গে আমাদের হাসাবে, ভাবাবে এবং বারবার মনে করিয়ে দেবে—চাপা আবেগ, অনাকাঙ্ক্ষিত বিশৃঙ্খলা আর ছোট ছোট হাসির মুহূর্তই তো জীবনের আসল রসদ।
এ এক বিরল রসায়নের গল্প, যা যদি নির্মাতাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রূপ নেয়—তবে এটি ২০২৫ সালের অন্যতম আলোচিত, এবং নিঃসন্দেহে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ছবি হয়ে উঠবে।
এসএম/টিএ