পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের সময় ঘোষণার পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলোচনা। বিএনপিসহ অনেক দলই এপ্রিলকে নির্বাচনের জন্য আদর্শ সময় মনে করছে না। এ নিয়ে বক্তব্য-বিবৃতির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
এরমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রোববার (৮ জুন) রাতে দেশের এক গণমাধ্যমকে বলেন, এপ্রিলের ব্যাখ্যাটা খুবই পরিষ্কার। উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন আমাদের মেইন ম্যান্ডেট হচ্ছে রিফর্ম, ট্রায়াল ও ইলেকশন।
তিনি বলেন, সংস্কারের প্রচুর কাজ হচ্ছে। এরইমধ্যে ১২ থেকে ১৫টা কমিশন করা হয়েছে। তারা তাদের রিপোর্টগুলো জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টগুলো নিয়ে পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আরেকটা হচ্ছে ট্রায়াল। জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার করা।
এই সময়টায় ভয়ানক রকম একটা হত্যাযজ্ঞ হয়েছে। চার বছর ছয় বছরের শিশুরাও মারা গেছে। ট্রায়াল হওয়াটা খুবই জরুরি। তবে ট্রায়ালটা এমনভাবে হওয়া উচিত, যেটা ডিউ প্রসেস এবং ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে।
প্রেস সচিব বলেন, এগুলোর জন্য সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি ইলেকশনটা যেন খুবই নিরপেক্ষ, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়, সেটার জন্য আয়োজনের একটা বিষয় আছে। এই প্রতিটি জিনিস লক্ষ করে চিফ অ্যাডভাইজার এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময় দিয়েছেন।
কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ওই সময়ের আবহাওয়া নির্বাচনের জন্য অনুকূল নয় বলে প্রশ্ন তুলেছেন, এমন প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা আবহাওয়াবিদদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহে টেম্পারেচার বেশি থাকে; দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তৃতীয় সপ্তাহে বেশি। তৃতীয় সপ্তাহ থেকে চতুর্থ সপ্তাহে টেম্পারেচার বেশি থাকে। তারা বলেছেন প্রথম ১০ দিন টেম্পারেচার মোটামুটি ঠিক থাকে। এই সময়টায় এত হিট ওয়েভ থাকে না যে ইলেকশন করা যাবে না।
কালবৈশাখীর বিষয়ে তিনি বলেন, কালবৈশাখী শব্দটার মধ্যেই বৈশাখ মাস আছে। বৈশাখ মাসেই এটা বেশি হয়। আবহাওয়াবিদদরাও বলেছেন এপ্রিল মাসের প্রথম নয়টা দিন কালবৈশাখী হয়। তা-ও এটা খুব লোকালাইজড হয়, দেশব্যাপী হয় না। এটাও হয় এপ্রিল মাসের সেকেন্ড হাফে বেশি।
যখন বৈশাখ মাসটা শুরু হয়ে যায়। সত্যিকার অর্থে এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধটা একটা ফ্যান্টাস্টিক টাইম।
আরএম