চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে গিয়ে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ১৮৮ বাংলাদেশি। এ ছাড়া ১৯ জন দেশটির সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাপ্রাপ্ত মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ১৮৮ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন।
এতে আরো বলা হয়েছে, সৌদি আরবের চিকিৎসা কেন্দ্র হতে প্রদত্ত স্বয়ংক্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৮২৩টি।
এদিকে চলতি বছর পবিত্র হজপালনে সৌদি আরবে গিয়ে আরো দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে হজপালনে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৯ বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন।
সর্বশেষ গত শনিবার (৭ জুন) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার মো. মজিব উল্যা (৬৭)। এর দুই দিন আগে ৫ জুন মারা যান ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মনোয়ারা বেগম মুনিয়া (৫৩)। তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও নারী দুইজন। এর মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ১১ জন, মদিনায় সাতজন ও আরাফায় ১ জন।
এ ছাড়া ১০ মে মারা যান নীলফামারী সদরের বয়েজ উদ্দিন (৭২), ১৪ মে মারা যান চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মো. অহিদুর রহমান (৭২), ১৭ মে মারা যান গাজীপুর সদরের মো. জয়নাল হোসেন (৬১) এবং ১৯ মে মারা যান চাঁদপুরের মতলবের আ. হান্নান মোল্লা (৬৩) ও ২৪ মে রংপুরের পীরগঞ্জের মো. সাহেব উদ্দিন, ২৫ মে মারা গেছেন চাঁদপুরের কচুয়ার বশির হোসাইন (৭৪)। ২৭ মে মারা যান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের শাহাদাত হোসেন, ২৯ মে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মো. মোস্তাফিজুর রহমান(৫৩), একই দিন মাদারীপুর সদরের মোজলেম হাওলাদার (৬৩), গাজীপুরের টঙ্গীর পূর্ব থানার আবুল কালাম আজাদ (৬২), গত ১ জুন মারা যান, গাজীপুরের পুবাইলের মো. মফিজ উদ্দিন দেওয়ান (৬০) ও নীলফামারীর সৈয়দপুরের মো. জাহিদুল ইসলাম (৫৯)।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ছিল ২৯ এপ্রিল আর হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ৩১ মে। সরকারি হজযাত্রীর কোটা ৫ হাজার ২০০, বেসরকারি হজযাত্রীর কোটা ৮১ হাজার ৯০০।
হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুন এবং হজযাত্রীদের শেষ ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুলাই।
আরআর/টিকে