সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওরে একদিকে পরিবেশ রক্ষার আহ্বান, অন্যদিকে ঈদ আনন্দের নামে চলছে উচ্চস্বরে ডিজে পার্টি, প্লাস্টিক বর্জ্যের ছড়াছড়ি। প্রশাসনের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মঙ্গলবারও (১০ জুন) অসংখ্য পর্যটক উচ্চ শব্দে জেনারেটর চালিয়ে, মাইক বাজিয়ে হাওরের ঢুকে পড়েন।
তবে থেমে থাকেনি প্রশাসন। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টাঙ্গুয়ার হাওরের শহীদ সিরাজ লেক, পাতারগাঁও ও ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬টি নৌযানকে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে ৫টি পর্যটকবাহী ট্রলারকে ১০ হাজার টাকা এবং একটি হাউসবোটকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল হাসেম।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, হাওরের পরিবেশ রক্ষা ও জনভোগান্তি এড়াতে আমরা গতকালই উচ্চ শব্দে গান-বাজনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু অনেকেই সেটি মানেননি। আজ শহীদ সিরাজ লেক এলাকায় একটি হাউসবোটে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার ও শব্দদূষণের প্রমাণ পাওয়ায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আরও ৫টি ট্রলারে শব্দদূষণ ও বর্জ্য ফেলার কারণে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযান চলাকালে সব হাউসবোট ও ট্রলারের মাঝিদের নিয়ে শহীদ সিরাজ লেক এলাকায় জমে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য, বোতল ও অন্যান্য ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়।
জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক হাওরে ছুটে আসছেন। তবে এই পর্যটন যেন টাঙ্গুয়ার জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ ধ্বংসের কারণ না হয়, সেই লক্ষ্যে প্রশাসনের এই পদক্ষেপ। স্থানীয়রা বলছেন, এমন অভিযান আরও জোরদার না হলে হাওর ধীরে ধীরে মানুষের বর্জ্যভান্ডারে পরিণত হবে।
এসএম/টিকে