সিনেমা জগতে ভালোবাসার গল্প বলার মাস্টার সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা এবার নিজের ক্যারিয়ারেই একটি অপ্রীতিকর টুইস্টের মুখোমুখি হলেন। তেলুগু সিনেমার বর্তমান সবচেয়ে হটেস্ট প্রপার্টি অলু অর্জুনকে নিয়ে তার স্বপ্নের প্রোজেক্টটি হোঁচট খেয়েছে সময়ের অভাবে। আর এর পেছনে মূল ভূমিকায় রয়েছে দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে অর্জুনের আগামী বলিউড প্রোজেক্ট 'ওয়ান্ডারফুল স্টোরি লাভ' (ডাব্লিউএসএল)।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টলিউড গসিপ কলামগুলো গুঞ্জন করছিল যে 'পুষ্পা' খ্যাত অলু অর্জুন এবং 'কাবির সিং' পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা একসাথে একটি মেগা প্রোজেক্টে কাজ করতে চলেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই এই স্বপ্নের জুটি ভেঙে যাওয়ার খবরে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা প্রেমীদের মধ্যে হতাশার ছায়া নেমে এসেছে। সূত্রে জানা গেছে, অর্জুনের টাইট শিডিউলই এই সহযোগিতার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষ করে দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে 'ডাব্লিউএসএল' ছবির শুটিং আগামী কয়েক মাস ধরে চলবে বলে অর্জুনের পক্ষে ভাঙ্গার ছবির জন্য সময় বের করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বলিউডের খবরের কাগজ 'ফিল্মিফান্ডা'র এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, "সন্দীপ তার ছবি দ্রুত শুরু করতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু অর্জুনের শিডিউল কনফ্লিক্টের কারণে উভয় পক্ষই চুক্তি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।"
এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি হতাশ অলু অর্জুনের ফ্যান্স। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন ফ্যান লিখেছেন, "আমরা সন্দীপের র এবং ইনটেন্স স্টোরিটেলিংয়ের সঙ্গে অর্জুনের এক্সপ্লোসিভ পারফরম্যান্সের কম্বিনেশন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। এটি সত্যিই একটি সুযোগ মিসড."
এদিকে, সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা ইতিমধ্যেই বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন। টলিউড সূত্রগুলো জানাচ্ছে, তিনি এখন প্রভাস বা বিক্রমের মতো অন্য তেলুগু সুপারস্টারদের কাছে পৌঁছেছেন। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা আসেনি।
মজার ব্যাপার হলো, এই ঘটনা চলচ্চিত্র জগতের সেই পুরনো সত্যকেই আবার প্রমাণ করল যে 'সময়ই সবচেয়ে বড় সেলেব্রিটি'। অলু অর্জুনের মতো ব্যস্ততার শীর্ষে থাকা একজন অভিনেতার পক্ষে একসাথে একাধিক বড় প্রোজেক্ট ম্যানেজ করা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং।
সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা বর্তমানে দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ 'স্পিরিট' ছবির কাজে ব্যস্ত। কিন্তু এই নতুন তেলুগু-হিন্দি ক্রসওভার প্রোজেক্টটি নিয়েও তার উৎসাহ কম নয়। চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা হয়তো ভবিষ্যতে আরও বড় কোনো কলাবরেশনের দিকে নিয়ে যাবে সন্দীপকে।
শেষ পর্যন্ত বলতেই হয়, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে এই ধরনের শিডিউল কনফ্লিক্ট নতুন কিছু নয়। কিন্তু প্রতিবারই এটি প্রমাণ করে যে দর্শকদের জন্য অপেক্ষার পালা। কে জানে, হয়তো এই বাতিল হওয়া জুটির চেয়েও বড় কিছু অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য!
এসএম/টিকে
