ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে ২৪২ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে থাকা কেউ বেঁচে নেই। তবে, বিমানটি কীভাবে বিধ্বস্ত হলো এবং রানওয়ে থেকে বের হওয়া থেকে শুরু করে বিধ্বস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কী হয়েছিল, তা নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, গুজরাটের আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ভেঙে পড়ে। তার আগে, দুপুর ১টা ৩০ থেকে ১টা ৪০ মিনিটের মধ্যে কী হয়েছিল?
দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বিমানটি উড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিমানটি তখন রানওয়েতেই ছিল। দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে বিমানটি রানওয়ের শেষ প্রান্ত ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। তখনও বিমানের সঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) যোগাযোগ ছিল। দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে বিমানবন্দর ছেড়ে বেরিয়ে যায় এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইটটি।
তখনও বিমানের সঙ্গে এটিসির যোগাযোগ ছিল। পাইলট বিপদসংকেত পাঠান এটিসিকে। কয়েক সেকেন্ডে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বিমান ভেঙে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়।
আনন্দবাজার আরও জানায়, বিমানটি যখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬৫০ ফুট ওপরে ছিল সেই সময়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানটি মিনিটে ৪০০ ফুট গতিতে নিচে নেমে আসছিল। তারপরেই লোকালয়ে ভেঙে পড়ে। বিমান যখন দ্রুতগতিতে নিচে নেমে আসছিল, সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাইলটের হাতে এক মিনিটও সময় ছিল না।
বিমান বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, সেটি তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬২৫ ফুট উঁচুতে ছিল। বিমান যদি ৩৫ হাজার ফুট ওপরে থাকত, তা হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় পেতেন পাইলট এবং ক্রু সদস্যেরা।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে তিনি লিখেছেন, আহমেদাবাদের দুর্ঘটনা আমাদের হতবাক করে দিয়েছে, দু:খিত করেছে। এটা কতটা হৃদয়বিদারক, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
এই দুঃখের মুহূর্তে, বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমি সমবেদনা প্রকাশ করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার মন্ত্রী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আমি মর্মাহত।
আহত যাত্রীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করা এবং হাসপাতালে চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরএম/এসএন