প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে দেশ।
শুক্রবার স্থানীয় (১২ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনায় মিলতে পারে দেশের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান। আর দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণে পথ খোলার আশা প্রবাসী নেতাদের।
দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, নির্দলীয় সরকারের দাবি এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে প্রধান দুই পক্ষের এ বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি হতে পারে সংকট সমাধানের সম্ভাব্য ভিত্তি।
ব্রিটেন প্রবাসী সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতা শামসুল আলম লিটন বলেন, ড. ইউনূসের সরকার কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে রোড টু ডেমোক্রেসিতে যেতে পারে, এ বৈঠকে সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এ বৈঠক আয়োজনের ক্ষেত্রে যেহেতু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার একটা বড় নেপথ্য ভূমিকা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সে কারণেই এ বৈঠকটি সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদি চ্যালেঞ্জগুলোকে স্পট করে ওয়ার্ক প্ল্যানটি তৈরি করা যায়।
ইউরোপ জামায়াতে ইসলামের মুখপাত্র আবু বক্কর মোল্লা বলেন, ওনার (তারেক রহমান) সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক হওয়া ভালো লক্ষণ। আমি মনে করি, সংলাপ, আলাপ-আলোচনা চলতে থাকা উচিত। আমরা যদি টেবিলে বসে সমস্যার সমাধান করতে পারি, আমরা কেন রাজপথে আন্দোলন করব।
যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা এরইমধ্যে বৈঠক ঘিরে প্রস্তুতি নিয়েছেন। হোটেলের বাইরে অবস্থান নিয়ে তারা দলীয় সংহতি জানাবেন বলে জানা গেছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই মনে করছেন, এ বৈঠক দেশের জন্য আশার বার্তা নিয়ে আসতে পারে।
এসএন