ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্য এখনও আছে, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, দল-মত আদর্শ ভিন্ন থাকে, ভিন্ন বয়ান আসবে ভিন্ন কথা আসবে ভিন্নভাবে উপস্থাপন আসবে কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যে ভাঙন এসেছে। এখনও হাসিনা একটা বক্তব্য দিলে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব ঐক্য এক কাতারে দাঁড়িয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় কুমিল্লা মহানগরী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবির বাংলাদেশে যেকোনো ইস্যু নিয়ে সচেতন থাকার চেষ্টা করে।
ইতোমধ্যে সরকার নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ঘরে। এক্ষেত্রে বিএনপি ডিসেম্বর নিয়ে বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছেন, জামায়াত বলছে সরকার যেভাবে রোডম্যাপ করেছে সেভাবেই হোক। আমরা চাই সরকার ব্যালেন্স করে সিদ্ধান্ত নিবেন। ছাত্রশিবির এমন কোনো সিদ্ধান্ত চায় না যা রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়। আমরা চাই এমন সিদ্ধান্ত হোক যেন রাষ্ট্রের জনগণ ও সকল রাজনৈতিক দলের জন্য কল্যাণকর হয়।
বাম সংগঠন সম্পর্কে শিবির নেতা বলেন, বাম সংগঠনগুলো বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা চালায়, তাদের ন্যাচারটাই এমন। ওনাদের রাজনীতি হয় অন্য দলের প্রোপ্রাগান্ডা চালানো। যাদের রাজনৈতিক কোন আদর্শ থাকে না তারাই মূলত এসব করে। আমরা তাদের অতীত থেকে শিক্ষা নিতে বলব। তারা যেন শিক্ষার্থীদের সাইকোলজি বুঝার চেষ্টা করে। আশা করছি, তারা সুস্থ ধারায় ফিরে আসবে।
শিবিরকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কে রাজনীতি করবে আর করবে না এটা কোন ব্যক্তি নির্ধারণ করতে পারে না। ফ্যাসিস্ট হাসিনাও কথায় কথায় আমাদেরকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতো।
ছাত্রদল সভাপতির উদ্দেশে শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রদলের সভাপতিকে আমি সম্মান রেখেই বলবো, অতীত থেকে শিক্ষা নিন। আর যদি শিক্ষা না নিয়ে ফ্যাসিবাদী সুরেই কথা বলেন তাহলে ফ্যাসিবাদের যে পরিণতি হয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীরা একই পরিণতির দিকে উনাদেরকেও ঠেলে দেবেন। সে দায় কিন্তু আমাদের না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জন্য দু:ভাগ্য হচ্ছে আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নেই না। হাসিনা মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে কিন্তু পালিয়েছে। আশা করছি, নিজেদের দায় যেন নিজেরা নেয় সেভাবেই যেন কথা বলেন। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হোক আমরা তা কখনই চাই না। তবে কেউ যদি রাজনীতির মাধ্যমে দেশের জন্য কাজ করতে চায় সেটা তার মৌলিক অধিকার।
আরআর/এসএন