জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। মানে উনি দেখা করবেন না ড. ইউনূসের সঙ্গে। বিষয়টা এমন, আপনি একজনের বাসায় গিয়ে দরজা নক করছেন। কেউ দরজা খুলছে না।অনেকক্ষণ পরে দরজা খুলে কাজের লোক বলল, স্যার আপনার সঙ্গে দেখা করবে না।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ‘কথা’ নামের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, যেখানে ওনি আপনার সঙ্গে দেখাই করবেন না, তা আপনি ওখানে গেলেন কেন? যাওয়ার আগে বড় মুখ করে বললেন কেন, ওনার সঙ্গে আপনার দেখা হবে? দেখা হওয়ার পর আপনি ওই দেশে যারা টাকা-পয়সা নিয়ে গেছে আমাদের দেশ থেকে, সেগুলো ফেরত আনার জন্য চেষ্টা করবেন। যাওয়ার আগে বলেছেন, দেশবাসীকে বুঝিয়েছেন, বিশাল একটা কাজ করতে আপনি যাচ্ছেন।
আসলে আপনি গেলেন কেন? এটা কি কোনো রাষ্ট্রীয় সফর ছিল? দুই দেশের মধ্যে কোনো দ্বিপাক্ষিক সফর ছিল? কিছুই ছিল না। এটা ছিল ড. ইউনূসের একটা ব্যক্তিগত সফর। মানে ওনি একটা পুরস্কার পাবেন।
তিনি বলেন, যে পুরস্কার পাবেন, সেই পুরস্কারের তালিকায় ওনার নাম নাই।
মনে হয়, কোনো সান্ত্বনা পুরস্কার হবে আর কি! জানি না। খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো পুরস্কার তা মনে হয় না। যে লোক নোবেল প্রাইজ পেয়ে গেছে তাকে এই পুরস্কারের জন্য লালায়িত হতে হবে কেন? ওনি গেছেন, এয়ারপোর্টে নেমেছেন- কোনো রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ওনাকে দেওয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ড. ইউনূস একজন ব্যক্তি মাত্র নয়, ওনি এখন এই দেশের প্রধান নির্বাহী। বাংলাদেশ সরকারের প্রধান ব্যক্তি।
ওনি যদি কোথাও অপমানিত হন, ওনি যদি কোথাও অসম্মানিত হন, সেই অসম্মান কেবল ড. ইউনূসের গায়ে লাগে না। এই পুরো দেশের জাতির গায়ে লাগে। যে কারণে এরকম পদে যখন কেউ যায় তারা সবসময় খেয়াল রাখার চেষ্টা করেন, আমার কোনো আচরণ আমার দেশের সাধারণ নাগরিককে অসম্মানিত করে কি না। এটুকু বুঝার মতো যদি ক্ষমতা না থাকে, বোধ বুদ্ধি না থাকে- তাহলে উনি এত বড় দায়িত্বে যান কেন?
এফপি/টিএ