দীর্ঘ সাত বছরের বিরতি ভেঙে পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল আবারও ফিরেছেন তার পরিচিত ফ্রেমের বাইরে গিয়ে ‘পক্ষীরাজের ডিম’ নিয়ে। তার আগের সফল ছবি ‘রেইনবো জেলি’-র দ্বিতীয় অধ্যায় এটি, যা ঘোতন আর পপিন্সের বড়বেলার গল্প বলে।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌকর্য তার নতুন ছবি, কল্পবিজ্ঞানের প্রতি তার টান এবং ছোটদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন।
আমাকে আবারও ট্রমায় ফেলেছে’
সৌকর্য ঘোষাল বলেন, ‘রেইনবো জেলি'র পর এই সাত বছরে তিনি আরও তিনটি ছবি করেছেন – ‘রক্তরহস্য’, ‘ভূতপরী এবং উৎসবে প্রদর্শিত ‘ওসিডি’। তবে ‘পক্ষীরাজের ডিম’-এর জন্য এই দীর্ঘ অপেক্ষাটা জরুরি ছিল কারণ ঘোতন আর পপিন্স বড় হওয়ার পর তাদের জীবনে কী ঘটছে, সেটাই ছিল গল্পের মূল উপজীব্য।
‘নতুন এই ছবিতে ঘোতনকে দেখা যাবে স্কুলের পরীক্ষায় অঙ্কে শূন্য পেয়ে আটকে থাকা অবস্থায়। সেখান থেকেই গল্পের শুরু, যখন সে ‘পক্ষীরাজের ডিম’ নামে একটি জিনিস পায় যা মানুষকে অন্যের আবেগ বুঝতে সাহায্য করে।’
‘পক্ষীরাজের ডিম’ নির্দিষ্ট দর্শকদের মধ্যে আটকে থাকবে কিনা বা বক্স অফিসে সফল না হওয়ার আশঙ্কা প্রসঙ্গে সৌকর্য বলেন, ‘কল্পবিজ্ঞান এমনই একটি জরা, যেখানে কঠিন বিষয় সহজভাবে তুলে ধরা হয়। মার্ভেল বা জেমস ক্যামেরনের ‘অবতার’-এর মতো ছবিগুলো সব বয়সের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়, যা সায়েন্স ফ্যান্টাসি জরার উদাহরণ।’
এসএন