ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় এবার উত্তপ্ত পুরো মধ্যপ্রাচ্য। ক্রমেই গুরুতর হয়েছে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি৷ ১৩ জুন ভোরে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র এবং শীর্ষস্থানীয় সামরিক নেতাদের লক্ষ্য করে ফাইটার জেট অ্যাটাক করে দখলদার বাহিনী৷ তেল আবিব তাদের এই মিশনের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন৷’
এদিকে এই হামলার প্রতিশোধে ১৪ জুন ভোর থেকেই তেল আবিবে হামলা শুরু করেছে ইরান। নেতানিয়াহুর বহু চর্চিত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আয়রন ডোমকে চুরমার করে দিয়ে সরাসরি তেল আবিবে আছড়ে পড়ছে একের পর এক ইরানের মিসাইল৷ বিস্ফোরণ-আগুনে ছারখার দেশটির রাজধানী৷
ভয়াবহ সাইরেনের আওয়াজে মধ্যরাতে ঘুম ভাঙে তেল আবিবের মানুষের৷ হুড়মুড়িয়ে রেসকিউ সেন্টারে ঢুকতে শুরু করেন বহু নাগরিক৷ কিন্তু, যে আয়রন ডোম নিয়ে ইসরায়েলের গর্বের শেষ ছিল না, সেই ডোম প্রহরাকেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে তেল আবিবে থাকা সেনা হেডকোয়ার্টাসের কাছে পর পর আছড়ে পড়ল ব্যালিস্টিক মিসাইল৷ শুধু আয়রন ডোমই নয়, মিসাইল আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে ডেভিডের স্লিং-এর মতো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও৷
দু’দফায় এই মিসাইল হামলা চালায় ইরান৷ তেল আবিবের একটা বৃহত্তর অংশে তো বটেই দেশটির সেনাদের হেডকোয়ার্টার্সসহ একাধিক মিলিটারি ফেসিলিটিকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে তেহরান। শুধুমাত্র তেল আভিভেই নয়, এয়ার রেড সাইরেন শোনা গিয়েছে ইসরায়েল অধিকৃত জেরুজালেমেও। হামলায় কমপক্ষে এক সাধারণ নাগরিক নিহতসহ ৪১ নাগরিকের আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
এর আগে, ইরানের নিউক্লিয়ার সাইটে প্রায় ইসরায়েলের ২০০ ফাইটার জেটের হামলায় ৭৮ জন মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে, আহত হয়েছেন ৩২০ এরও বেশি। এই হামলার পরেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই ভয়ঙ্কর হামলার ফল ভুগতে হবে নেতানিয়াহুকে৷
এসএম/টিকে