জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মানবাধিকার রক্ষায় আনা প্রস্তাবে ভারত ভোটদানে বিরত থাকে ভারত। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস এমপি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেন, ইরানে হামলায় কেবল সমর্থন নয়, নেতানিয়াহুকে উৎসাহও দিইয়েছে ভারত। যা লজ্জাজনক ও হতাশাজনক।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন- যখন নেতানিয়াহু একটি পুরো জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন, তখন ভারত কেবল নীরব সমর্থকই থাকছে না, বরং ইরানে হামলা এবং দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার ঘটনাকে সমর্থন দিয়ে নেতানিয়াহুকে উৎসাহিত করছে। এটি একটি দেশের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক সব নীতিমালার পরিপন্থি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া পোস্টে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, এই সিদ্ধান্তের কোনও যৌক্তিকতা নেই। প্রকৃত আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের জন্য ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়ানোর সাহস প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। একটি গোটা জনসংখ্যাকে অবরুদ্ধ করে অনাহারে মারা হচ্ছে, অথচ আমরা কোনও অবস্থান নিচ্ছি না। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এই পদক্ষেপকে ভারতের বিরোধী উপনিবেশবাদী ঐতিহ্য থেকে করুণ পশ্চাদপসরণ হিসেবে আখ্যা দেন।
কংগ্রেস এই নেত্রী বলেন, ভারত অতীতে বারবার ন্যায়ের পক্ষে সাহসিকতা দেখিয়েছে। আজকের বিভাজিত বিশ্বে আমাদের উচিত মানবতার পক্ষে আওয়াজ তোলা, সত্য ও অহিংসার পক্ষে নির্ভয়ে দাঁড়ানো। তিনি আরও বলেন- জাতি হিসেবে আমাদের সংবিধানের নীতিমালা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্যবোধ বিসর্জন দিতে পারি না; এগুলা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের অবস্থান গড়ে তুলেছিল।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গাজায় অবিলম্বে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বানে একটি স্থায়ী প্রস্তাব গ্রহণ করে। এতে ১৪৯টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, ১৯টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে এবং ১২টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। ভারত এই প্রস্তাবে ভোট প্রদান থেকে বিরত থেকে নিরব ভূমিকা পালন করে।
এসএম/টিকে