ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় ইরানের পুলিশপ্রধান মেজর হাবিবুল্লাহ আকবারিয়ান এবং লেফটেন্যান্ট আমির হোসেইন সেইফি নিহত হয়েছেন। তেহরান থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পশ্চিমে হামেদান প্রদেশের আসাদাবাদ শহরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ জানিয়েছে। এই হামলার ঘটনা ইরানের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে, যদিও ইরানের পক্ষ থেকে এখনও এই হামলার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
শনিবার (১৪ জুন) রাতে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তারা ইরানের ৪০টির বেশি সামরিক স্থাপনায় ৭০টি বিমান হামলা চালিয়েছেন। এসব স্থাপনার মধ্যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং কমান্ড অবকাঠামোও রয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আমাদের প্রাথমিক হামলার কারণে ডজনখানেক বিমান তেহরানের আকাশে অবাধে চলাচল করছে। আমরা পশ্চিম ইরান থেকে তেহরান পর্যন্ত আকাশসীমায় মুক্তভাবে অভিযান চালাতে পারছি।" ডেফরিন আরও জানান, হামলার সময় তেহরানের আকাশে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে যুদ্ধবিমান ও ড্রোন টহল দেয়। তিনি বলেন, "আমরা এমন এক অবস্থান তৈরি করেছি, যেখানে তেহরান পর্যন্ত আকাশে আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তেহরান এখন আর নিরাপদ নয়।"
এই বিবৃতির মাধ্যমে ইসরায়েল স্পষ্ট করেছে যে, তাদের লক্ষ্য কেবল সীমান্তবর্তী অঞ্চল নয়, বরং ইরানের রাজধানী পর্যন্ত বিস্তৃত সামরিক অভিযানের আওতাভুক্ত।
আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ইরানে ৮০ জন নিহত হয়েছেন এবং ৩২০ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইরানের হামলায় ইসরায়েলের চারজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই ক্রমবর্ধমান হতাহতের সংখ্যা এবং হামলার বিস্তৃতি মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি।
আরআর