৭ কোটি বছরের প্রাচীন ডাইনোসরের জীবাশ্মে পাওয়া গেল ক্যান্সারের চিহ্ন! যুক্তরাজ্য আর রোমানিয়ার বিজ্ঞানীরা এই বিস্ময়কর তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। এক টুকরো প্রাচীন হাড় এখন হয়ে উঠেছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন আলো।
গরুর মতো আকারের এই ঘাস খেকো ডাইনোসরটির চোয়ালে মিলেছে টিউমারের চিহ্ন। শুধু তাই নয়, আশেপাশের নরম টিস্যুতে লুকিয়ে থাকা রক্তকণিকাসদৃশ গঠন গবেষকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোস্কোপে ধরা পড়েছে, নরম টিস্যুতে টিকে থাকা প্রাচীন প্রোটিন, যা ক্যান্সারের জৈবিক গঠন বোঝার এক অনন্য সূত্র হতে পারে।
গবেষণাদলের প্রধান অধ্যাপক বলছেন, ‘ডাইনোসরের মতো দীর্ঘায়ু প্রাণীদের জীবাশ্ম ক্যান্সার প্রতিরোধ আর রোগের সহনশীলতা নিয়ে গবেষণায় অমূল্য সম্পদ। প্রাচীন হাড়ে লুকিয়ে থাকা প্রোটিন চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্য এক সোনার খনি’।
বিজ্ঞানীরা জোর দিচ্ছেন, জীবাশ্ম সংরক্ষণের ধরন বদলাতে হবে। কেবল কঙ্কাল নয়, নরম টিস্যু ও প্রোটিনও রাখতে হবে যত্নে। যাতে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিতে আরও গভীরতর তথ্য মিলতে পারে রোগের শিকড় নিয়ে।
এই আবিষ্কার প্রমাণ করে, ক্যান্সার শুধু মানুষের বা আধুনিক সময়ের রোগ নয়। কোটি কোটি বছর আগেও এই মরণব্যাধি পৃথিবীর বুকে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীর শরীরে বাসা বেঁধেছিল। এখন সেই অতীতই হয়তো ভবিষ্যতের চিকিৎসা বিপ্লবের পথ দেখাবে।
এফপি/টিএ