দখলদার বাহিনীর হামলার পর এবার চড়া জবাব দিচ্ছে ইরান। ১৪ জুন মধ্যরাতে তেহরানের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় কেঁপে ওঠে তেলআবিব। দেশটির রাজধানীসহ অধিকৃত জেরুজালেমে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দেশটি জানিয়েছে, শুধু সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্র নয়, হাইপারসোনিক মিসাইল দিয়েও আক্রমন চালিয়েছে ইরান। তেহরানের এমন পাল্টা জবাবে এবার যেন চোখে অন্ধকার দেখছেন নেতানিয়াহু।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়লে বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হতে পারে, যার প্রভাব গোটা মুসলিম বিশ্ব ও পশ্চিম এশিয়ায় পড়বে। নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন দখলদার দেশটি এখন এক কঠিন চাপে রয়েছে। অনেকেই বলছেন, ইরানে হামলা চালিয়ে নেতানিয়াহু যেন মৌচাকে ঢিল মেরেছে। আর এখন তারই চরম মূল্য দিতে হচ্ছে দেশটিকে।
এর আগে ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলা চালায় তেলআবিব। ধারণা করা হয়, ওই হামলার লক্ষ্য ছিল প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামিনির অবস্থান। যদিও ওই হামলায় ইরানের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ অনেকেই নিহত হন। তেহরান বলছে, এই হামলার প্রতিশোধ নিতেই তারা ব্যাপক আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তেলআবিবের হামলা প্রতিহত করতে তেহরানের পাস্তুর এলাকায় ইরানি বাহিনী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে। হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইরান শতাধিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দখলদার দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পাল্টা আঘাত হানে। তবে এই হামলায় দেশটিতে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, তেহরান-তেলআবিবের এই পাল্টাপাল্টি হামলা শুধু দুই দেশের জন্য নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্যই এক ভয়াবহ সংকেত। এই পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।
টিকে/টিএ