অত্যাধুনিক আয়রন ডোম বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তবে এসব ব্যর্থ করে তেল আবিবের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান। একের পর এক মিসাইল আসলেও তা ধরতে পারছে না ইসরায়েলের রাডার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরানে দফায় দফায় বিমান হামলার পর এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ শুরু করে তেহরান।
ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান, সৌদি আরব এবং কুয়েতের মত দেশের উপর দিয়েই উড়ে এসেছে এসব মিসাইল। সবমিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৭শ ২৪ কিলোমিটারের বিশাল দূরত্ব পেরিয়ে মাত্র এক রাতেই ইসরায়েলি আকাশ তছনছ করে দিয়েছে ইরানের ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল। জানা গেছে, বিশেষ ৩ স্তরের কৌশলের মাধ্যমে এমন অসাধ্য সাধন করেছে ইরান।
ইরান ছুঁড়েছে মধ্য পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। যেগুলো ২ হাজার কি.মি. দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। যার বিশেষ বৈশিষ্ট, এগুলো সোজা উঠে যায় আকাশমণ্ডলের বাইরে। তারপর নির্দিষ্ট গতিপথ ধরে আঘাত করে লক্ষ্যবস্তুতে। তাই সহসা ধরা পরে না রাডারে। ড্রোনগুলো ক্ষেপণাস্ত্রের মত নয় বরং আকাশে নিচু হয়ে আসে। এগুলোর বেশিরভাগই ছোঁড়া হয় ইরাক ও সিরিয়ার ইরানপন্থী সশস্ত্র ঘাঁটি থেকে।
জানা গেছে, ইসরায়েলে হামলায় ইরান অত্যাধুনিক জ্যামিং টেকনোলজি ও রাডার বাইন্ড স্পট ব্যবহার করেছে। ড্রোনগুলো এমনভাবে পাঠানো হয়েছে যে রাডারগুলো এর সিগন্যাল ধরতে পরে না। এ কৌশলগুলো অনেকটা গোস্ট মিসাইল নীতির মত। মিসাইল আসছে তবে রাডার সেটি জানে না। আর এই কৌশলেই ধরাশায়ী দখলদার ইসরায়েল। একের পর এক ভেঙ্গে পড়েছে দেশটির একাধিক শহরের ভবন।
এফপি/টিএ