আবারও সমঝোতার নির্বাচন হলে জনগণ মেনে নেবে না : বুলবুল

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, আবার কোনো সমঝোতার নির্বাচন হলে জনগণ মেনে নেবে না। ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেঈমানী করলে তাদের পরিণতি পতিত আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়াবহ হবে।

জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে রোববার (১৫ জুন) মহানগর অফিসে কর্মপরিষদ সদস্যদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগর সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নানসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ।

নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার রক্তাক্ত বিপ্লবের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করা। ১/১১ সরকারের সাথে আওয়ামী লীগ সমঝোতার মাধ্যমে ২০০৯ সালে যেভাবে ক্ষমতা দখল করে অনূরূপ আবারও সমঝোতার নির্বাচন হলে জনগণ সেই নির্বাচন মেনে নেবে না। ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে যারা বেঈমানী করবে তাদের পরিণতি আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়াবহ হবে।

তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহা আমাদের ত্যাগ ও কোরবানির আদর্শে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক শোষণ ও বৈষম্য দূর করে একটি তাকওয়াভিত্তিক সমাজ গঠনের অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যদি বাস্তব জীবনে ইসলামী আদর্শ অনূসরণ করে সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করতে পারি তাহলেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে।

ইরানের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বুলবুল বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ওপর পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে এবার আন্তর্জাতিক সব আইন ও নীতি লঙ্ঘন করে গভীর রাতে ইরানের ওপর হামলা করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে এবং পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখার জন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসরায়েল ও তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

 
পিএ/টিএ  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বহু বছর পর একসঙ্গে রচনা-প্রবাল, ছেলের জন্য কি আবার এক হচ্ছেন তারা? Jun 16, 2025
নির্বাচনকালীন সরকার বিরোধীদের হয়রানি বন্ধ করবে - আশাবাদ এ্যানির Jun 16, 2025
শেখ হাসিনাকে নিয়ে ট্রাইবুনালের নতুন যে নির্দেশনা Jun 16, 2025
সিলেটে উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ, বহিষ্কৃত যুবদল নেতা! Jun 16, 2025
সূত্রাপুরের মামলা নিষ্পত্তি, খালাস পেলেন এ্যানি Jun 16, 2025
img
মোসাদের গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান Jun 16, 2025
img
তরমুজ বিক্রেতা রনি এখন অভিনেতা Jun 16, 2025
img
কলকাতার ৬০০ টাকার শাড়িতে কঙ্গনা, কিন্তু হাতে লাখ টাকার ব্যাগ! Jun 16, 2025
img
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় বিকেলে বৈঠকে বসছে কমিটি Jun 16, 2025
img
ঈদে বাজিমাত করল নিলয়-হিমির ‘কোটি টাকার চেয়ারম্যান’ Jun 16, 2025
img
নেত্রীকে কুপ্রস্তাব দিলেন এনসিপি নেতা তুষার! অডিও ফাঁস করলেন নির্ঝর Jun 16, 2025
img
পরীক্ষার দিনই বোর্ডে পৌঁছাতে হবে এইচএসসি উত্তরপত্র Jun 16, 2025
img
বাহুবলীর দেবসেনা এবার ডন! ‘কাইথি ২’ নিয়ে জোর গুঞ্জনে আনুশকা শেঠি Jun 16, 2025
img
পাকিস্তানের কোচিং ছেড়ে দেয়ার কারণ জানালেন গ্যারি কারস্টেন Jun 16, 2025
img
সড়ক পথে দেশে ফিরছেন ইরানের হজযাত্রীরা Jun 16, 2025
img
'ভারত পাকিস্তানের পানি বন্ধ করলে যুদ্ধ ছাড়া আর কোনও বিকল্প থাকবে না' Jun 16, 2025
img
মঙ্গলবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা Jun 16, 2025
img
কৃতি শ্যাননের বোন নুপূরের বিরুদ্ধে পোশাক ব্যবসায় জালিয়াতির অভিযোগ Jun 16, 2025
img
গুমবিষয়ক একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করা হবে : আইন উপদেষ্টা Jun 16, 2025
img
অসুস্থতার কারণে মিরাজের প্রথম টেস্টে খেলা নিয়ে দোটানা Jun 16, 2025