পৃথিবীর প্রত্যেক দেশের নিজস্ব কিছু ঐতিহ্য রয়েছে। তেমনি বাংলাদেশে রয়েছে পরিবেশ-বান্ধব যানবাহন—রিক্সা। ঐতিহ্যবাহী বাংলা সংস্কৃতি এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থাকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতেই এবার আমেরিকাতেও চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের রিক্সা।
রিক্সা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ও নান্দনিক বাহন, যা দীর্ঘদিন ধরে নগরজীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে এই রিক্সা যদি বিদেশের মাটিতে চলে, তবে সেটি নিঃসন্দেহে এক নতুন বৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক সংযোগের প্রতীক হবে।
আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যে এমনই এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ চালু করতে যাচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের রাজপথের পরিচিত স্বল্প আয়ের বাহন রিক্সা এখন নিউইয়র্কের রাস্তায় চলছে সফলভাবে। মিশিগানেও একই রকম পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। নিউইয়র্কের রাস্তায় রিক্সা এখন কেবল বাংলাদেশিরাই নয়, বহু বিদেশিরাও চালাচ্ছেন এবং এটি আয়ের একটি কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা এটিকে লজ্জার কিছু নয় বরং সম্মানজনক ও আত্মনির্ভরশীলতার পথ হিসেবে দেখছেন। কারণ, কোনো কাজই ছোট নয়। অনেকেই নিউইয়র্কে রিক্সা চালিয়ে ভাল পরিমাণ ডলার আয় করছেন এবং পরিবার চালাচ্ছেন স্বচ্ছলভাবে।
তবে এখনো মিশিগানে রিক্সা চালুর জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন সিটি কাউন্সিলে থাকা বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা চাইলে এটি নিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অনুমোদন আদায় করতে পারেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের মতে, যদি নিউইয়র্কে রিক্সা চলতে পারে, তবে যুক্তিসংগতভাবে মিশিগানেও রিক্সা চালানোর দাবি তোলা যায়। অনেক বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী আমেরিকায় এসে শুরুতেই কোনো কাজ পান না, তখন এই ধরনের উদ্যোগ তাদের আর্থিক সমস্যা সাময়িকভাবে কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে পারে। এতে শুধু চাকরির বিকল্প নয়, বরং বাংলাদেশের সংস্কৃতিও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।
এসএম