দ্রুতই নেতানিয়াহুর দেশকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করবো: জার্মানি

ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপের অন্যতম পরাশক্তি দেশ জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ।

এছাড়া ইরানের সামরিক পরমাণু কর্মসূচি থামাতে কূটনৈতিক সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি আবারও ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকেও সমর্থন জানিয়েছেন।

রোববার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ রোববার ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ফোনালাপে তিনি বলেন, ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া যাবে না। জার্মান চ্যান্সেলরের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চ্যান্সেলর মের্জ ও ওমানের সুলতান উভয়েই একমত হয়েছেন যে— এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা ঠেকানো এবং যুদ্ধ যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা।

তারা দুইজনই কূটনৈতিক উদ্যোগকে সমর্থন জানান, যাতে এই সংঘাতের অবসান ঘটানো যায়। চ্যান্সেলর মের্জ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ওমানের ভূমিকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এদিকে রোববার ওমানের রাজধানী মাসকটে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ দফার যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা বাতিল করা হয়েছে। কারণ ওই আলোচনার আগেই ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায়।
চ্যান্সেলর মের্জ জানান, ইরানের সামরিক পরমাণু কর্মসূচি থামাতে কূটনৈতিক সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি আবারও ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকেও সমর্থন জানান।

তিনি বলেন, ইসরায়েল জার্মানির কাছে দমকল সরঞ্জাম চেয়েছে এবং “আমরা দ্রুতই তা সরবরাহের কাজ শুরু করব”। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই যুদ্ধ যাতে আরও বিস্তৃত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে এবং ইরান যেন ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর হামলা বন্ধ করে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েল ইরানের ভেতরে একের পর এক হামলা চালিয়েছে, বিশেষ করে পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি, তেল ও গ্যাস স্থাপনাগুলোতে। এতে ইরানের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের মৃত্যু হয়েছে। এর জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক আকারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

কেএন/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

৫০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র! নেতানিয়াহুর দোতলা বাড়ি এখন ধ্বং'স'স্তূ'প Jun 16, 2025
রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য সুখবর! বিমান ভাড়ায় পাবেন বিশেষ ছাড় Jun 16, 2025
img
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিল পাকিস্তান Jun 16, 2025
img
বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদে ফিরল হাজিদের বহনকারী ফ্লাইট Jun 16, 2025
img
ভারতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ Jun 16, 2025
“বিরোধীপক্ষ নয়, রাষ্ট্রপতি করুন ইউনূসকে”—সাংবাদিক ইলিয়াস Jun 16, 2025
নেত্রীকে কুপ্রস্তাব এনসিপি নেতা তুষারের! অডিও ফাঁস করলেন জাওয়াদ নির্ঝর Jun 16, 2025
img
রোহিতের উত্তরসূরি ঠিক হয়ে গেছে? শুভমান নন, হিটম্যানের আসনে বসছেন কে? Jun 16, 2025
img
সংকট কাটিয়ে রেকর্ডের পথে চট্টগ্রাম বন্দর Jun 16, 2025
তবে কি ঘোষণা দিয়েই মত সভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ইশরাক ? Jun 16, 2025
img
‘ক্যাম্পাস এখনো নিরাপদ নয়’— এই বয়ান প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত চলছে: এস এম ফরহাদ Jun 16, 2025
img
ইংল্যান্ড সিরিজের আগে রেকর্ডের দোরগোড়ায় যশস্বী, পিছনে ফেলতে পারেন দ্রাবিড়-শেহওয়াগকে Jun 16, 2025
‘বিবি পায়রায় যাদু ছড়াবেন স্বস্তিকা ও অনির্বাণ Jun 16, 2025
img
‘ডন থ্রি’তে থাকছে অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের চমক! Jun 16, 2025
মৌমাছি গিলে মৃত্যু! কারিশমার প্রাক্তন স্বামীর ৩৯ হাজার কোটির সাম্রাজ্য কার হাতে? Jun 16, 2025
ঢাকার ২০ আসনে জামায়াতের প্রার্থী কারা? Jun 16, 2025
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর আগে জানলেন প্রেস সচিব! কারা ছিলেন সোর্স? Jun 16, 2025
শপথ ছাড়াই মেয়র! ইশরাককে সিটি কর্পোরেশন কর্মচারীদের সংবর্ধনা Jun 16, 2025
লন্ডনে ব্যর্থতা, বিতর্ক, বিলাসিতা— যা নিয়ে দেশে ফিরলেন ড. ইউনূস Jun 16, 2025
img
'জাতিসংঘের গুম সনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ‍্যালেঞ্জ আছে' Jun 16, 2025