রাজনীতির কারণে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও দেশে ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন সাকিব আল হাসান। একই পরিণতি মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্ষেত্রেও। এরই মাঝে গুঞ্জন- তামিম ইকবালও রাজনীতিতে আসছেন ভিন্ন দলের হয়ে। আবার ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব নিতে চান তামিম- এমন গুঞ্জনও জোরালো। এবার এই দুই বিষয়ে খোলাসা করলেন তামিম নিজেই।
সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশে দেখা যায় তামিমকে। এ থেকেই শুরু হয় তার রাজনীতিতে আসার গুঞ্জন। তবে সমকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিমের দাবি ভিন্ন।
তিনি বলেন, ‘আমার একদমই রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা নেই। তাই বলে আমি রাজনীতিকে খারাপভাবে দেখি না। একজন সংগঠক বা ক্রিকেটারকে যেমন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হয়, তেমনি একজন রাজনীতিবিদকেও রাজনীতিতে প্রজ্ঞাবান হতে হয়। আমার রাজনীতিতে আসার সুযোগ ছিল, কিন্তু সম্পৃক্ত হওয়ার তাগিদ বোধ করিনি। আমার ওই রাজনৈতিক যোগ্যতা নেই।‘
তামিম দাবি করেছেন, চট্টগ্রামে বিএনপির ঐ সমাবেশে একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবেই উপস্থিত হয়েছিলেন। তার আলোচনার সবটুকু জুড়েই ছিল চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন। তবে এ-ও জানালেন, ‘২০ বছর পরে গিয়ে কী হবে, কেউ বলতে পারে না। তবে এ মুহূর্তে রাজনীতি নিয়ে ভাবছি না।’
তবে যদি রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে কাজ করার সুযোগ আসে, তামিম তা দু’হাতে জড়িয়ে নেবেন। বললেন, ‘আমি আশা করব, এমন একজন রাজনৈতিক নেতা আসবেন, যিনি দেশের স্পোর্টসের স্বার্থে ক্রীড়াবিদদের বেছে নেবেন। স্পোর্টসের উন্নয়নে সঠিক মানুষ খুঁজে বের করবেন। আমি বলব না, আমিই সেই সঠিক মানুষ। তারা যাঁকে সঠিক মনে করবেন, তাঁকে খুঁজে নেবেন। আমি ওটার জন্য অপেক্ষা করব।‘
এদিকে বিসিবিতে যোগ দেওয়ার আগে তামিম চান শুদ্ধতা। বর্তমান নির্বাচন প্রক্রিয়ার যে অবস্থা তাতে বিসিবি পরিচালক হওয়ার আগ্রহও যেন কমে গেছে সাবেক এই অধিনায়কের।
তামিম বলেন, ‘আমি যেভাবে চিন্তা করছি, সেটা একটু ভিন্ন। আমরা বোর্ডে গেলে ক্রিকেটের ভালো করার জন্যই যাওয়া উচিত। এখন যেভাবে বিসিবি চলছে, ওইভাবে যেতে হলে না যাওয়াই ভালো। এ ব্যাপারে আমি খুবই পরিষ্কার। অনেকে প্রতিশ্রুতি দেন এই করবেন, ওই করবেন। আমার কাছে মনে হয়, কেউ বলে পরিবর্তন করতে পারে না, চেষ্টা করতে পারে। আমিও তাই বলব, আমি গেলে ভালো করার চেষ্টা করব। তবে শুধু শুধু বোর্ডের পরিচালক হওয়া বা কোনো পদ নেওয়ার শখ আমার নেই। কারণ আল্লাহ খেলার মাধ্যমে আমাকে অনেক দিয়েছে।‘
‘নির্বাচনটা কীভাবে হয়, তা আমরা জানি। আমি যে সুন্দর একটা বোর্ডের চিন্তা করছি, বাস্তবে সে সুযোগ কম। পরিবর্তন করা না গেলে আমাদের মতো লোকজনের দরকার কী? যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলুক।‘
এফপি/টিএ