ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক নতুন মোড় ঘুরছে এই সময়ের সাহসী ও ভাবনাশীল অভিনেত্রীদের হাত ধরে। তারা শুধু পর্দায় নয়, গল্প বলার ধরন, চরিত্র বাছাই, আর নারীর আত্মপ্রকাশের ভাষাও বদলে দিচ্ছেন। এখন আর বাণিজ্যিক সফলতাই শেষ কথা নয় — বরং মান, দৃষ্টিভঙ্গি আর গভীর আবেগকে জায়গা করে দিচ্ছে নতুন প্রজন্মের তারকারা।
এই তালিকার অন্যতম নাম সানিয়া মালহোত্রা। দঙ্গল থেকে শুরু করে সাম বাহাদুর, কাথাল ও মিসেস–এর মতো ছবিতে তিনি বাস্তবতাকে তুলে এনেছেন নিখুঁতভাবে। তাঁর অভিনয়ে উঠে এসেছে নারী চোখের অনুভব, যা একদিকে যেমন বিশ্বাসযোগ্য, অন্যদিকে তেমনি বাণিজ্যিকভাবেও সফল।
রাধিকা মদন প্রতিবারই নিজেকে ভেঙেছেন। মার্ড কো দরদ নেহি হোতা থেকে শিদ্দত—সবকিছুতেই ভিন্ন ঘরানার ছাপ। ব্যর্থতার ভয় না থাকা তাঁর বড় শক্তি, যা তাঁকে সমসাময়িকদের থেকে আলাদা করে তুলেছে।
মেধা শংকর অভিনয় করেছেন বারোতম ফেল ছবিতে। তাঁর স্থিরতা আর আবেগের ভার যেন চরিত্রগুলোকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে। এখন তিনি ধীরে ধীরে মূলধারার প্রেমের গল্পের দিকে এগোচ্ছেন, তবে কোনো তাড়াহুড়ো নেই।
প্রতিভা রান্তা লাপাতা লেডিস ছবির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেই নজর কাড়েন। তাঁর চরিত্রের সারল্য, সংলাপে সততা আর চোখের ভাষায় আবেগ দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। এখন তিনি ভাবনাশীল পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করছেন, যা তাঁকে দীর্ঘ মেয়াদে শক্ত অবস্থান এনে দিতে পারে।
ওয়ামিকা গাব্বি হয়ে উঠেছেন রূপান্তরের প্রতীক। থ্রিলার থেকে স্পাই ড্রামা—সব ধারাতেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তাঁর চরিত্রে রয়েছে রহস্য, কোমলতা, আত্মবিশ্বাস আর আবেগের সমন্বয়। একটি বড় প্যান-ভারতীয় চরিত্র পেলে তিনি হবেন পরবর্তী ভাইরাল মুখ।
তানিয়া মনিকতলা তুলনামূলকভাবে শান্ত, কিন্তু তাঁর অভিনয় থেকে চোখ সরানো যায় না। একটি উপযুক্ত ছেলে থেকে কিল—সবখানেই সংযম আর শক্তিমত্তার মিশেল। তিনি শব্দে নয়, চরিত্রের গভীরতায় নিজের জায়গা তৈরি করছেন।
এই সব অভিনেত্রীরাই আজকের ভারতীয় সিনেমার ভিত গড়ে তুলছেন নতুন রূপে। তাঁদের ভেতর দিয়ে উঠে আসছে নারীদের নিজস্ব স্বর, নিজস্ব গল্প বলার ভাষা আর বাস্তব জীবনের প্রতিবিম্ব।
এফপি