গত বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪১ জনের। তবে যাত্রীদের পাশাপাশি যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়ে সেখানে স্থানীয় বহু মানুষের মৃত্যু আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছেন গুজরাটের এক গুজরাটি পরিচালক মহেশ কালাওয়াড়িয়া। দুর্ঘটনার পর থেকে তার কোনও খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। ওই ব্যক্তির সর্বশেষ মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ধরা পড়েছিল দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে। এই পরিস্থিতিতে স্বামীর মৃত্যুর আশঙ্কায় তার ডিএনএ স্যাম্পেল দিয়ে এসেছেন স্ত্রী হেতাল কালাওয়াদিয়া।
পেশায় মিউজিক ভিডিও পরিচালক মহেশের স্ত্রী জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ল গার্ডেনে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মহেশ। তার পর আর ঘরে ফেরেননি। হেতাল বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৪ মিনিটে ও বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিল। কাজ সেরে বাড়ি ফিরছে। তবে দীর্ঘক্ষণ তার কোনও খোঁজ না পাওয়ায় ফোন করলে ওর ফোন সুইচড অফ বলে। এই অবস্থায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হলে পুলিশ তদন্ত করে জানায়, দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে শেষবার তার ফোনের অবস্থান ধরা পড়ে।”
হেতাল আরও জানান, “ঘটনার পর মহেশের স্কুটার ও মোবাইল ফোনের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।” শুধু তাই নয়, যেখানে শেষবার ওর মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ধরা পড়ে ওই পথে ও কখনও বাড়ি ফিরত না। দুর্ঘটনার জেরে মহেশের মৃত্যু হয়েছে কিনা নিশ্চিত হতে আমরা ডিএনএ নমুনা দিয়ে এসেছি।”
উল্লেখ্য, আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা এক পলকে ওলট-পালট করে দিয়েছে সবকিছু। বৃহস্পতিবারের অভিশপ্ত দুপুর কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের প্রাণ। ওই দিন গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ২৪২ জনকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল এআই ১৭১। তবে টেক অফ করার পর ওপরে ওঠার পরিবর্তে নিচের দিকে নামতে শুরু করে সেটি। আছড়ে পড়ে বিমানবন্দরের পাশে একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে। ভয়াবহ বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গোটা হোস্টেল।
এই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ১৪১ জনের মৃত্যু হলেও, সকলকে চমকে দিয়ে সেই মৃত্যুকুণ্ড থেকে বেরিয়ে আসেন ওই বিমানেরই এক যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ। তবে বিমানে থাকা যাত্রীদের পাশাপাশি দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ঘটনার সময় সেখানে থাকা স্থানীয় নাগরিকদের। যদিও সেই সংখ্যাটা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি সরকারের তরফে। তবে অনুমান করা হচ্ছে, সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২৭০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
কেএন/এসএন