করোনা পরবর্তী বলিউডে অভিনেত্রীদের জন্য এক হাজার কোটির ক্লাবে পৌঁছানো যেন এক অলীক স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন নতুন প্রজন্মের মুখ তৃপ্তি দিমরী। এখনও পর্যন্ত মাত্র চারটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তার, আর তাতেই মোট আয় আটশো আশি কোটি টাকা! এমন ধারাবাহিক সাফল্য বলিউডে খুব কম অভিনেত্রীই দেখাতে পেরেছেন।
‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে রণবীর কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করে এক ঝটকায় সবার নজরে চলে আসেন তৃপ্তি। সেই ছবি একাই আয় করেছিল প্রায় চারশো নব্বই কোটি টাকা। এরপর ‘ভুল ভুলাইয়া তিন’ ছবির দাপুটে সাফল্যে আরও একধাপ এগিয়ে যান তিনি। ছবিটি আয় করেছে প্রায় দুইশো আশি কোটি টাকা। যদিও ‘ব্যাড নিউজ’ আর ‘ভিকি বিদ্যা কা ও ওয়ালা ভিডিও’ বক্স অফিসে একটু কম চলেছে, তবু মিলিয়ে চারটি ছবিতেই তিনি পেয়েছেন দর্শকের ভালোবাসা আর নির্মাতাদের আস্থা।
এই মুহূর্তে দীপিকা পাড়ুকোন ও রাশ্মিকা মান্দানা ছাড়া আর কোনো অভিনেত্রী করোনা পরবর্তী সময়ে এক হাজার কোটির ক্লাবে প্রবেশ করতে পারেননি। সেই তালিকায় তৃপ্তি হচ্ছেন তৃতীয় সম্ভাব্য নাম। আর মাত্র একশো কুড়ি কোটি আয় করলেই তিনি পৌঁছে যাবেন সেই কাঙ্ক্ষিত মাইলফলকে।
সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো, আলিয়া ভাটের মতো প্রতিষ্ঠিত তারকাও এখনও এই ক্লাবে নাম লেখাতে পারেননি, যদিও তার ঝুলিতে ছবির সংখ্যা অনেক বেশি। তাই তৃপ্তির এই উত্থান নিছক ভাগ্যের খেলা নয়। বরং এই সাফল্য এসেছে তাঁর পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত, যোগ্যতা আর স্মার্ট পছন্দের ফলে।
এখন সবার চোখ তাঁর আগামী ছবি ‘স্পিরিট’-এর দিকে। পরিচালনায় রয়েছেন ‘অ্যানিম্যাল’-এর পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা। শুরুতে এই ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোনের নাম থাকলেও শেষমেশ তৃপ্তিকেই নেওয়া হয়েছে প্রধান ভূমিকায়। ফলে আবারও সেই সফল পরিচালক-অভিনেত্রী জুটি ফিরতে চলেছে রুপালি পর্দায়।
তৃপ্তি দিমরী এখন আর শুধুই নতুন মুখ নন—তিনি হয়ে উঠছেন বলিউডের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং সম্ভাবনাময় তারকা। আর ‘স্পিরিট’ মুক্তি পেলে সেই সম্ভাবনাই হয়তো পরিণত হবে নতুন ইতিহাসে।