কামাল হাসান আর মণি রত্নম — দুজনের নামই সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। সঙ্গে ছিল বিশাল তারকা সমাবেশ। এতকিছুর পরও যেন কাজ হলো না কিছুই। মুক্তির পর থেকেই প্রত্যাশা ভাঙছে ‘থাগ লাইফ’-কে ঘিরে।
২৮ জুন মুক্তি পাওয়া এই বহু প্রতীক্ষিত ছবিটি ভারতে প্রথম দিনেই আয় করেছিল ১৫ কোটি টাকার একটু বেশি। কিন্তু দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে ছবির দৈন্যদশা স্পষ্ট। দ্বিতীয় শনিবারে আয় নেমে এসেছে মাত্র ৯০ লাখ টাকায়। এখন পর্যন্ত দেশীয় বাজারে মোট আয় ৪৫ কোটি ৬৫ লাখ — যা নির্মাণ ব্যয়ের তুলনায় অত্যন্ত কম। বক্স অফিস বিশ্লেষকদের মতে, এই ছবি এখন ব্রেক-ইভেনের ধারে-কাছেও পৌঁছতে পারছে না।
তামিলনাড়ুতে কিছুটা ভালো প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলেও, সারা ভারতে দর্শকের আগ্রহ দ্রুত কমে গেছে। থিয়েটারে দর্শক উপস্থিতির হার শনিবার রাতে সর্বোচ্চ ছিল ২৯ শতাংশ — যা এই স্তরের ছবির জন্য একেবারেই আশানুরূপ নয়।
‘থাগ লাইফ’-এ ছিলেন কামাল হাসান ছাড়াও তৃষা কৃষ্ণান, সিম্বু, ঐশ্বর্য লক্ষ্মী, জোজু জর্জ, আলি ফজল, নাসার, আশোক সেলভান, মহেশ মাঞ্জরেকরের মতো অনেক তারকা। সিনেমার ক্যামেরার কাজ ও সঙ্গীত পেয়েছে প্রশংসা, তবে মূল সমস্যা ধরা পড়েছে চিত্রনাট্যে। বিশেষ করে ছবির দ্বিতীয়ার্ধকে বলা হচ্ছে দীর্ঘ ও ধীর গতির।
যদিও এই সপ্তাহে তেমন বড় কোনও নতুন ছবি নেই, তবুও ‘থাগ লাইফ’ বড়সড় রিকভারির পথে ফিরতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
শেষ কথা, বড় নাম দর্শকের আগ্রহ আনতে পারে — কিন্তু টিকে থাকতে হলে চাই টানটান গল্প আর আবেগ ছোঁয়া সিনেম্যাটিক অভিজ্ঞতা। আর সেটাই যেন দিতে পারল না ‘থাগ লাইফ’।