ইরান ও ইসরায়েলের টানা পাঁচ দিনের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই নতুন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি যখন তুঙ্গে, তখন ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প স্পষ্টভাবেই বলেছেন, তিনি ইসরায়েলকে “যুদ্ধ নয়, বরং আরও ভালো কিছু উপহার দিতে চান।” যদিও এই ‘ভালো জিনিস’টি কী—সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই নতুন করে সরব হয়েছেন বিশ্বের দুই শক্তিধর নেতা—চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রথমবারের মতো সরাসরি এই সংঘাত নিয়ে মুখ খুলেছেন। কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শভকাত মিরজিওয়েভের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “চীন এমন সব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে, যা অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে লঙ্ঘন করে।”
এদিকে রাশিয়াও ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছে। মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, রাশিয়া এই সংকটে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনে আগ্রহী। তবে তিনি এটাও বলেন, “ইসরায়েল বাইরে থেকে কোনো মধ্যস্থতায় আগ্রহ দেখায়নি।”
অন্যদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে এখনই মস্কোর পক্ষে মধ্যস্থতা করা উপযুক্ত নয় বলে মত দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েল বিভিন্ন স্থানে ইরানে হামলা শুরু করে। তাদের দাবি, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল তেহরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা ধ্বংস করা। তবে ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং পাল্টা হামলা শুরু করে।
এফপি/টিএ