মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের সিচুয়েশন কক্ষে এক জরুরি বৈঠক করেছেন। এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের এ বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল―মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাবে কিনা দেশটি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। এদিন বৈঠকে ইরানে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের মধ্যে মতামতের পরিপূর্ণ মিল হয়নি বলেও জানা গেছে।
এর আগে গত কয়েকদিন ধরে ইরানকে আলোচনায় ফেরার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরইমধ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংগঠিত যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়াবে কিনা, এ নিয়ে বিবেচনা শুরু করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৭ জুন) ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে আলোচনা হয়।
এদিনের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে একটি ইরানের ফোরদো শহরে অবস্থিত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের নাম উঠে আসে। কেন্দ্রটি ভূগর্ভে অবস্থিত, যা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ এক ধরনের বোমাই ধ্বংস করার সক্ষমতা রাখে বলে ধারণা করা হয়।
হামলার ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের মধ্যে এখনো মতামতের মিল হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের একাধিক সংবাদমাধ্যম বলছে, বৈঠক শেষ করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু কী ব্যাপারে বা তাদের মধ্যে কী নিয়ে কথা হয়েছে, সেটি জানা যায়নি।
এদিকে গত তিনদিনে অন্তত ৩০টি মার্কিন সামরিক ট্যাংকার বিমান, যা আকাশে যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমানে জ্বালানি সরবরাহ করে, সেসব ইউরোপ পাঠানো হয়েছে।
আরআর/টিকে