আমেরিকার শর্তে ইরান আত্মসমর্পণ করবে না এবং এর ফলে পুরো অঞ্চল একটি ভয়াবহ সংঘাতের মুখোমুখি হতে পারে — এমনটাই জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইরান প্রকল্প পরিচালক আলি ভায়েজ।
তিনি বলেন, ইরান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা ‘আমেরিকার শর্তে আত্মসমর্পণ’ করবে না। ভায়েজ জানান, যুদ্ধ যদি শুরু হয়, তাহলে সেটি কেবল ইরান ও আমেরিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না — বরং এটি পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে একযোগে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে।
আলি ভায়েজ আরও জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধের আগেই ইসরায়েলকে ইরানে হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন। অথচ এর মাত্র দুই দিন পরেই ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ইরানিদের সঙ্গে ওমানের মাসকটে বৈঠক করার কথা ছিল।
ভায়েজ বলেন, ইরানি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টি অত্যন্ত বিতর্কিত ও দ্বিমুখী। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক আলোচনার কথা বলছে, অন্যদিকে ইসরায়েলকে হামলার অনুমতি দিচ্ছে। এই দ্বিমুখী অবস্থান ইরানকে আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।
তিনি বলেন, "ট্রাম্প এখন চাচ্ছেন ইরান যেন সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু আমার মতে, ইসরায়েলি ও আমেরিকান বোমার আঘাতে যে ক্ষতি হবে, তার চেয়েও বড় বিপদ হলো আমেরিকার শর্তে আত্মসমর্পণ করা।"
ভায়েজ মনে করেন, একবার যদি ইরান পারমাণবিক ইস্যুতে আত্মসমর্পণ করে, তাহলে মার্কিন চাহিদার শেষ থাকবে না। একের পর এক শর্ত চাপিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত ইরান সরকারের পতনের পথ তৈরি হবে। আর যদি ইসলামি প্রজাতন্ত্র পতনের দিকে যায়, তাহলে ইরানও পুরো অঞ্চলকে সঙ্গে নিয়ে তলিয়ে যেতে চাইবে।
"তাই এখন পুরো অঞ্চলে একটি বিস্তৃত যুদ্ধ লেগে যাওয়ার আশঙ্কা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি," বলেন আলি ভায়েজ।
কেএন/টিকে