যুক্তরাষ্ট্র জানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায় অবস্থান করছেন, কিন্তু এই মুহূর্তে তাকে হত্যার কোনো পরিকল্পনা নেই। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, ইরানের আকাশসীমা যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় তুচ্ছ। ট্রাম্পের এই বার্তাগুলো ইরান-যুক্তরাষ্ট্র বিরোধকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্টে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। পোস্টে তিনি লেখেন, “আমরা জানি তথাকথিত ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্য, কিন্তু আপাতত নিরাপদ। আমরা তাকে এখনই হত্যা করছি না, অন্তত এই মুহূর্তে না”। ট্রাম্পের এ বার্তা নিশ্চিত করে যে, ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর নজরদারি ও গোয়েন্দা নজরদারিতে যুক্তরাষ্ট্র কতটা অগ্রগামী অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা চাই না ইরান আমাদের সৈন্য বা সাধারণ নাগরিকদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দিক। আমাদের ধৈর্য শেষের দিকে’।
এছাড়া আরেক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, ‘আমাদের এখন ইরানের আকাশের পূর্ণ এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ইরান ভালো মানের স্কাই ট্র্যাকার ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রাখলেও তা মার্কিন প্রযুক্তির তুলনায় কিছুই না’। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই বক্তব্য কেবল কূটনৈতিক চাপে নয়, বরং একরকম মনস্তাত্ত্বিক কৌশলের অংশ, যার মাধ্যমে ইরানকে সামরিকভাবে চাপে ফেলে আলোচনার টেবিলে আনতে চায় ওয়াশিংটন।
এদিকে মার্কিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত নয়। তবে বাস্তবতা হলো, ইসরায়েল বহু বছর ধরেই মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সহায়তায় সমৃদ্ধ। ফলে সংঘাতের এ জটিল পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের এমন বার্তা যুদ্ধ-সদৃশ উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কূটনীতিকরা।
টিকে/টিএ