বলিউডে বহু আলোচিত কাজল অভিনীত পৌরাণিক হরর থ্রিলার ‘মা’ মুক্তির আর মাত্র কিছুদিন বাকি। সিনেমাটি ঘিরে উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি প্রত্যাশাও তুঙ্গে। কারণ এটি শুধুমাত্র একটি কামব্যাক নয় — বরং কাজলের কেরিয়ারে এক দুঃসাহসিক অধ্যায়ের সূচনা এবং মহিলা নেতৃত্বাধীন সিনেমার বাজারে এক নতুন সম্ভাবনার জানান।
পরিচালনায় রয়েছেন বিশাল ফুরিয়া, যিনি এর আগেও ‘ছোরি’র মতো প্রশংসিত হরর ছবি বানিয়েছেন। ‘মা’ মুক্তির আগেই বুকমাইশো-র মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মহিলা নেতৃত্বাধীন ছবিগুলোর মধ্যে আগ্রহের শীর্ষে উঠে এসেছে। ‘মুন্ঝা’, ‘শয়তান’-এর মতো সাম্প্রতিক হরর হিটের ধারাবাহিকতায় এবার ‘মা’ নিয়ে বলিউড আরও এক ধাপ এগোতে চলেছে।
বক্স অফিস বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ছবির প্রথম দিনের আয় যদি সাত থেকে নয় কোটির মধ্যে থাকে, তাহলে তা সরাসরি মহিলা কেন্দ্রিক প্রথম সারির সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নেবে। অতীতে যেমন ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’, ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’ বা ‘রাজি’ সফল হয়েছিল, ‘মা’-কেও সেসব রেকর্ড স্পর্শ করতে হবে।
ছবির কাহিনি এক অভিশপ্ত গ্রামের প্রেক্ষাপটে। সেখানে দেবী রূপে কাজল নিজেই হয়ে উঠেছেন কালীশক্তির প্রতীক। এই ধরনের চরিত্রে তাকে আগে দেখা যায়নি। দীর্ঘদিন পর কাজল একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় চরিত্রে ফিরছেন। তার শেষ কিছু সিনেমা যেমন ‘সালাম ভেঙ্কি’ বা ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’ বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে পারেনি। ফলে ‘মা’ কাজলের কাছে কেবল প্রত্যাবর্তনের সুযোগই নয় — বরং তার নাম আবার বাণিজ্যিক সফল নায়িকাদের তালিকায় তুলে ধরার বড় একটি সুযোগ।
প্রাথমিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, একক স্ক্রিনগুলিতে এখনও কাজলের অনুরাগী সংখ্যা প্রচুর। যদি দর্শকদের মুখে মুখে ছবির প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে ছুটির দিনগুলোতে পারিবারিক ও নারী দর্শকদের টানতে পারবে ‘মা’। এমনকি ‘মা’ সফল হলে হরর ঘরানায় মহিলা নেতৃত্বাধীন বাণিজ্যিক ছবির ধারণাও বদলে যেতে পারে।
চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের মতে, কাজল এই ছবির মাধ্যমে যদি শক্তিশালী উপস্থিতি দেখাতে পারেন, তবে তিনি আলিয়া, কারিনা কিংবা কঙ্গনার পাশে নিজের অবস্থান আরও একবার পাকাপোক্ত করতে পারবেন। এক দশকের পর্দাজুড়ে থাকা এক কিংবদন্তি নায়িকা এবার আসছেন ভিন্ন রূপে — এক পৌরাণিক দেবীর মূর্তিতে, যাঁর শক্তি ভয়, অভিশাপ এবং আশীর্বাদের মধ্যে সীমারেখা তৈরি করে।
তাই ‘মা’ শুধু একটি ছবি নয় — এটা একটি প্রতীক, একটি পরীক্ষা, এবং সম্ভবত এক নতুন যুগের সূচনা যেখানে নারীর নেতৃত্বেই হরর, বাণিজ্য ও বিশ্বাসের মেলবন্ধন সম্ভব।
এসএম/এসএন