শত্রু সাপেক্ষে রাষ্ট্রের রাজনীতি ধারণ করেছেন জিয়াউর রহমান : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, রাষ্ট্র কখনও বন্ধু সাপেক্ষে হয় না। পৃথিবীতে রাষ্ট্র হয় শত্রু সাপেক্ষে এবং শত্রু সাপেক্ষে রাষ্ট্র হয় বলেই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সীমান্তে তার দিতে হয়। সীমান্তে পাহারাদার বসাতে হয়। ওই পাহারাদারদের হাতে অস্ত্র দিতে হয়।

সেই শত্রু সাপেক্ষের রাষ্ট্রের রাজনীতি ধারণ করেছেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৬ সালে সর্বপ্রথম জিয়াউর রহমান জাতিসংঘে গিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফোরামে পানির বিষয়ে গঙ্গা ইস্যুর কথা তুলেছেন। ভারত এর তীব্র বিরোধীতা করেছিল। পরের বছর ভারত চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে অন দ্য টার্মস অফ বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালে আরাকানে ক্র্যাকডাউন হয়েছে লাখ লাখ রোহিঙ্গারা চলে আসছে এখানে। এই ২০১৭ সালের মতো। জিয়াউর রহমান জাতিসংঘে গিয়ে বলছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেন। তা না হলে এ লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আমি অস্ত্র দেব, ট্রেনিং দেব।

এর পরে আপনার দেশ দখল করার ব্যবস্থা করব। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যে কয়েকজন রোহিঙ্গা আসছিল, সবাইকে বার্মা ফেরত নিয়ে গেছে।আমরা পারি নাই কেন?

তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান সর্বপ্রথম ভিলেজ ডিফেন্স ফোর্স করেছেন। গ্রাম প্রতিরক্ষা ফোর্স করেছেন তিনি। এই যে রাষ্ট্রকে প্রত্যেকদিন শত্রু সাপেক্ষে বিনিমার্ণ করা, শত্রু সাপেক্ষে বিবেচনা করা, শত্রু সাপেক্ষে গঠন করা শত্রু সাপেক্ষে স্বাতন্ত্রবোধ তৈরি করা, শত্রু সাপেক্ষে শক্তিশালী হওয়া- এটার নাম হচ্ছে বাংলাদেশকে বাংলাদেশ বানানো।

আমরা যখন বাংলাদেশ দুইয়ের কথা বলছি, দায় ও দরদের রাজনীতির কথা বলছি, আমরা এমন কিছু বলছি না, সেটা কখনও হয় নাই, কখনও করা হয়নি- এগুলো করা হচ্ছে।

আরএম 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সাই পল্লবীর প্রেমে জুনায়েদ? Jun 19, 2025
img
পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম গড়তে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর জোর চসিক মেয়রের Jun 19, 2025
img
মেয়েদের বিপক্ষে ছেলেদের ম্যাচ আয়োজন করতে জুভেন্টাসকে পরামর্শ দিলেন ট্রাম্প! Jun 19, 2025
img
তুষারের সঙ্গে অডিওর কথা স্বীকার করলেন এনসিপি নেত্রী Jun 19, 2025
img
সঞ্জয়ের উত্তরাধিকারী কি তবে কারিশমারই মেয়ে! Jun 19, 2025
img
সরকারি সেবায় ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ৩১.৬৭ শতাংশ নাগরিক: বিবিএস Jun 19, 2025
img
হাইকোর্ট বিভাগ পরিদর্শনে প্রধান বিচারপতি, অনিয়ম ও অনৈতিক লেনদেন নিয়ে কড়া বার্তা Jun 19, 2025
img
পাবনায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখা থেকে ১২ লাখ টাকা ও হার্ডডিস্ক চুরি Jun 19, 2025
img
এমন অনেক দিন ছিল ক্ষুধা পেটে ফুটপাতেই ঘুমিয়েছি : মিঠুন চক্রবর্তী Jun 19, 2025
img
রামোজিকে ‘ভৌতিক’ বলায় ট্রলের শিকার কাজল Jun 19, 2025
img
অবশেষে রাজধানীর মহাখালী থেকে সরছে 'বিএটি'-এর কারখানা Jun 19, 2025
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই বাইরে অর্থ পাঠাতে পারবেন বিদেশি পরামর্শকরা Jun 19, 2025
img
ইরানের হামলায় একদিনে ইসরায়েলে আহত ১৩৭ জন Jun 19, 2025
শিক্ষা নয়, কালো টাকাই অগ্রাধিকার? ৫০০ কোটি টাকা কমছে মাদ্রাসায়! Jun 19, 2025
গাজীপুরে নেতৃত্বের মঞ্চে কারা? ত্যাগী না সুবিধাবাদী? Jun 19, 2025
img
যুদ্ধ থামাতে ইউরোপীয় মধ্যস্থতা চান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট Jun 19, 2025
ইরানের ভেতরে ইসরাইলের তিনতলাবিশিষ্ট ড্রোন কারখানা! Jun 19, 2025
বেদনাদায়ক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে নেতানিয়াহুর দেশ! Jun 19, 2025
পরাজয় স্বীকার করে ইরান আত্মসমর্পণ করবো না, যুক্তরাষ্ট্রকে খামেনির হুঁশিয়ারি Jun 19, 2025
তোমাকে কিছু দেওয়ার অধিকার আমার নেই: মিষ্টি জান্নাত Jun 19, 2025