প্রতিপক্ষকে দুর্বল না ভেবে ঘরে ঘরে কাজ করতে হবে: এমরান সালেহ প্রিন্স

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, “আওয়ামী লীগ দেশের মালিকানা কেড়ে নিয়েছে। তাই আগামী রমজানের আগেই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গণ-আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন, সাম্যবাদী ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন)  বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সৎ, ত্যাগী, নিষ্ঠাবান ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীর প্রয়োজন। ‘কি পেলাম’ এই চিন্তা না করে, ‘দেশ ও জনগণকে কী দিতে পারলাম’—এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে এগিয়ে যেতে হবে। জনপ্রিয়তা ধরে রেখে দলের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, “রাজনীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশপ্রেম ও জনসেবা। বৈধভাবে আয় করতে হবে, তবে তা যেন একমাত্র উদ্দেশ্য না হয়। বিএনপি হলো একটি পরিবার, আর জনগণ ও নেতাকর্মীরা তার সদস্য।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বিপথগামী, শৃঙ্খলাভঙ্গকারী ও দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী কাউকে আর বরদাশত করা হবে না। সে যত বড় ত্যাগী বা শক্তিশালী হোক, ক্ষমা নেই। বিএনপি’র নাম ব্যবহার করে কেউ কুকর্ম করলে তাদের স্থান আর বিএনপিতে হবে না।”

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিজয় আসন্ন—এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বিপজ্জনক হতে পারে। তাই প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবা যাবে না, ঘরে ঘরে কাজ করতে হবে। শতভাগ সতর্কতা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপির রাজনীতি ক্ষমতা বা আধিপত্য দেখানোর জন্য নয়, দেশের কল্যাণে নিঃস্বার্থ কাজ করার জন্য। শুধু ক্ষমতায় যাওয়া নয়, দীর্ঘমেয়াদে জনগণের আস্থা অর্জন ও দেশ পরিচালনার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।”

সভায় তিনি ঘরে ঘরে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সালাম পৌঁছে দেওয়ার এবং ধানের শীষের পক্ষে প্রচার চালানোর আহ্বান জানান।

আরএম 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Jun 20, 2025
img
বহুদিন পর এক ফ্রেমে তিন সুপারস্টার খান Jun 20, 2025
img
ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়নি: জাতিসংঘ Jun 20, 2025
img
পাঁচ উপায়ে জীবন সহজ করছে চ্যাটজিপিটি Jun 20, 2025
img
ময়মনসিংহে জেলগেট থেকে ছাত্রলীগ নেতা অনি আটক Jun 20, 2025
img
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থী কমলো চার হাজার Jun 20, 2025
img
চার দশক পর চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ছে Jun 20, 2025
img
সারাদেশে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস Jun 20, 2025
img
ইরানের নতুন সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান মাজিদ খাদামি Jun 20, 2025
img
রোহিত-কোহলি-অশ্বিনকে ছাড়াও ভারতকে শক্তিশালীই মনে করছেন স্টোকস Jun 20, 2025
img
সৌদিতে আটকে ১২ হাজার ইরানি হাজী Jun 20, 2025
img
চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা, বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতি Jun 20, 2025
img
এয়ার ইন্ডিয়ার ১৬ আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট কমানোর ঘোষণা Jun 20, 2025
img
সড়কে ২০ বছরের বেশি পুরনো বাস-মিনিবাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা Jun 20, 2025
img
ইরান, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতায় প্রস্তুত রাশিয়া Jun 20, 2025
img
ইরান ইস্যুর ফাঁকে গাজায় ৯২ ফিলিস্তিনি হত্যা Jun 20, 2025
img
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রাজস্ব ঘাটতি সাড়ে ৬৬ হাজার কোটি টাকা Jun 20, 2025
img
সৌম্য-নাঈমদের নিয়ে শিরোপা রক্ষার মিশনে রংপুর Jun 20, 2025
img
বাজান তেল শোধনাগার নিরাপত্তাহীন, বলছেন মেয়র Jun 20, 2025
img
বড় ধরনের আর্থিক জরিমানার মুখে বিসিসিআই! Jun 20, 2025