টানা দ্বিতীয়বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও গতবারের চ্যাম্পিয়নদের এবার রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। টেস্টে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তারা হেরেছে ৫ উইকেটে। সেই ফাইনালে ব্যর্থতার পর আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড থেকে বাদ পড়লেন মার্নাস লাবুশেন। এ ছাড়া চোটের কারণে স্টিভেন স্মিথ ছিটকে গেছেন প্রথম টেস্ট থেকে।
ক্যারিবীয় ভূমিতে আগামী ২৫ জুন থেকে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আসন্ন লাল বলের সিরিজের জন্য অজিদের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে ফেরানো হয়েছে গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকের পর নানা কর্মকাণ্ডে আলোচিত ১৯ বছরের ওপেনার স্যাম কনস্টাসকে। এ ছাড়া জশ ইংলিসও সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেন স্মিথের জায়গায়। তবে স্মিথের পরের ম্যাচগুলো খেলা নিয়ে এখনও নিশ্চয়তা মেলেনি।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ ধুঁকছেন লাবুশেন। ২০২৩ সালে তিনি সর্বশেষ টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়া তাদের ওপেনিংয়ের দুর্বলতা ও লাবুশেনকে ফর্মে ফেরাতে তাকে দিয়ে ফাইনালে ইনিংস শুরু করেছিল। কিন্তু উসমান খাজার সঙ্গে লাবুশেনের জুটি জমেনি। দুই ইনিংসে লাবুশেন আউট হয়েছিলেন যথাক্রমে ১৭ ও ২২ রান করে। অন্যপ্রান্তে থাকা খাজাও অবশ্য কিছু করতে পারেননি ফাইনালে। তবে ওপেনিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বস্ত নাম এই বাঁ-হাতি ব্যাটার, এমনকি গত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি দলের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও।
লাবুশেনের বাদ পড়া প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি জানান, ‘নিজের সেরা ফর্মে থাকাবস্থায় মার্নাস নিশ্চিতভাবেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তবে আমরা তার কাছ থেকে যেমনটা প্রত্যাশা করি সেটি এখন সে দিতে পারছে না। তাই তার যেসব বিষয়ে কাজ করা দরকার আমরা সেগুলো নিয়ে তার পাশে থাকব। আমরা তার সামর্থ্যের মূল্যায়ন করি এবং আশা করি এই চ্যালেঞ্জ সে ইতিবাচকভাবে নেবে।’
অন্যদিকে, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ফাইনালে স্লিপে ক্যাচ ধরার সময় আঙুলে চোট পান স্মিথ। এরপর অভিজ্ঞ এই তারকা আর মাঠে ফিরতে পারেননি। সেই চোটের কারণে অন্তত আট সপ্তাহ আঙুলে ব্যান্ডেজ পরতে থাকতে হবে তাকে। উইন্ডিজ সফরের শুরুতে স্মিথের না থাকা প্রসঙ্গে বেইলি জানান, ‘ব্যথা ও চোট সারাতে স্মিথের আরও সময় লাগবে, আমরা তাকে এক সপ্তাহ বিশ্রামে রাখার পর পরিস্থিতি মূল্যায়ন করব। পাশাপাশি স্টিভ ও মার্নাসের জায়গায় জশ (ইংলিস) ও স্যামকে (কনস্টাস) সুযোগ দিতে চাই। তারা সুযোগ কেমন কাজে লাগায় তা দেখতে আমরা রোমাঞ্চিত।’
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট স্কোয়াড : প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স ক্যারি, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, উসমান খাজা, স্যাম কনস্টাস, ম্যাট কুনেম্যান, মার্নাস লাবুশেন, নাথান লায়ন, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক ও ব্যু ওয়েবস্টার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট স্কোয়াড : রোস্টন চেজ (অধিনায়ক), জোমেল ওয়ারিকান, কেভলন অ্যান্ডারসন, ক্রেইগ ব্রাফেট, জন ক্যাম্পবেল, কেসি কার্টি, জাস্টিন গ্রিভস, শাই হোপ, টেভিন ইমল্যাচ, আলজারি জোসেফ, শামার জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, জোহান লেইন, মিকায়েল লুইস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও জেইডেন সিলস।
এফপি/টিএ