মিসাইল হামলা ও জবাবে পাল্টা হামলার দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করতেই ইরান ও ইসরায়েল উভয় দেশের জনগণ প্রবল অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
বোস্টনের ব্র্যান্ডেইস ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর নাদের হাবিবি বলেন, ‘ইরানের অবস্থা আগেই খারাপ ছিল, এখন তা আরও ভয়াবহ হচ্ছে। যারা সামর্থ্যবান ছিলেন তারা তেহরান ছেড়ে চলে গেছেন, ফলে পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলোতে জনসংখ্যার চাপ তৈরি হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা যেতে পারছেন না এবং চরম অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছেন।’
হাবিবি যোগ করেন, ‘ইসরায়েলের অর্থনীতিও সংঘাত বৃদ্ধির কারণে চাপের মুখে। এই সংঘাত ইসরায়েলের অতীতের যেকোনো সংঘাত থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অভূতপূর্বভাবে ব্যাহত হয়েছে।’
এদিকে, ইসরায়েলি বিমান হামলা ও যুদ্ধের কারণে ইরানের বিভিন্ন শহর থেকে ব্যাপক জনস্রোত পালাতে শুরু করায় দেশটির অভ্যন্তরে এবং বিদেশে অবস্থানরত ইরানিদের ওপর আর্থিক ও ইন্টারনেট সেবা বিপর্যয় নেমে এসেছে। ব্যাংকিং সিস্টেম ক্র্যাশ, এটিএম থেকে টাকা তোলা অসম্ভব, এবং ইন্টারনেট সেবা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন।
তেহরান ও অন্যান্য শহরে ইন্টারনেটের গতি অত্যন্ত ধীর, অনেক জায়গায় সংযোগই কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ইরানসেল ও অন্যান্য ইন্টারনেট প্রদানকারীর সেবা বন্ধ হওয়ায় মানুষ ডিজিটাল লেনদেন করতে পারছেন না।
বিদেশে অবস্থানরত ইরানিরা (বিশেষত তুরস্ক, ইউএই ও ইউরোপে) রোমিং সেবা বন্ধ থাকায় ফোনে কোড পাচ্ছেন না, ফলে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা অনলাইন লেনদেনও অচল।
এফপি/টিএ