কাদের সিদ্দিকী আপাদমস্তক দেশের শত্রু : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

কাদের সিদ্দিকীকে ভুয়া আখ্যা দিয়ে তাকে আপাদমস্তক দেশের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবি পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। এক বক্তব্যে তিনি বলেন, "বঙ্গবীর তো ওসমানী। কাদের সিদ্দিকী নিজেই নিজেকে বঙ্গবীর বলে, যা অত্যন্ত নির্লজ্জতা। তিনি নিজেই নিজেকে রাষ্ট্রীয় উপাধি দিয়েছেন, এমনটা কোথাও হয় না।"

রাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে ফুয়াদ বলেন, “রাষ্ট্র কখনো বন্ধু সাপেক্ষে হয় না, রাষ্ট্র হয় শত্রু সাপেক্ষে। শত্রু সাপেক্ষেই সীমান্তে পাহারাদার বসাতে হয়, অস্ত্র দিতে হয়। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দরকার শত্রু চিনে পদক্ষেপ নেয়া। সেই জায়গা থেকে জিয়াউর রহমান রাজনীতি করেছেন।”

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “যে দেশকে আমাদের শাসকরা ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বলে আখ্যা দেয়, সেই ভারতের সঙ্গে কি বন্ধুর মতো সম্পর্ক? বন্ধুর বাড়িতে কেউ দারোয়ান রাখে? সীমান্তে ফেন্সিং দেয়? মানুষ হত্যা করে? তাহলে এটা তো শত্রু রাষ্ট্রের আচরণ।”

ফারাক্কা ইস্যু নিয়ে জিয়াউর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করে ফুয়াদ বলেন, “১৯৭৭ সালে জাতিসংঘে গিয়ে তিনি গঙ্গা পানি ইস্যু প্রথম আন্তর্জাতিকভাবে তুলেছিলেন। ভারত আপত্তি জানালেও তিনি পিছপা হননি। এরপরেই ভারত বাধ্য হয় বাংলাদেশের শর্তে পানি চুক্তি করতে।”

রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও জিয়াউর রহমানের কৌশলগত অবস্থানের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, “৭৭ সালে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ঢুকে পড়লে জাতিসংঘে গিয়ে তিনি কঠোর বার্তা দিয়েছিলেন—রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না নিলে সবাইকে অস্ত্র দিয়ে মিয়ানমারে ঢুকিয়ে দেব। সেই চাপেই রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয় বার্মা।”

চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলে ভারতের উসকানির অভিযোগ তুলে ফুয়াদ বলেন, “জনসংহতি সমিতিকে অস্ত্র দিয়ে আমাদের অস্থির করেছিল ভারত। জিয়া তখন সেটেলমেন্ট পলিসি নিয়ে নিজের মানুষদের মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিলেন।”

কাদের সিদ্দিকীর ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে ফুয়াদ বলেন, “হাজার হাজার লোককে ভারতীয় অস্ত্রে ট্রেনিং দিয়ে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি করেছিলেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।”

টিকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে যাচ্ছে মার্কিন যুদ্ধবিমান বি-২ স্টিলথ Jun 21, 2025
img
ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ Jun 21, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে অনেকেরই গা একটু জ্বলতেছে: শামা ওবায়েদ Jun 21, 2025
img
স্বাধীনতা দিবসে পর্দা কাঁপাতে প্রস্তুত আয়ান মুখার্জির ‘ওয়ার টু’ Jun 21, 2025
img
সাতক্ষীরায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এবি পার্টি নেতার মৃত্যু Jun 21, 2025
img
সেনাবাহিনী বিএনপি নেতার গুদাম থেকে উদ্ধার করল ১৩৫১৫ কেজি চাল Jun 21, 2025
নেতৃত্বে বদল চায় ডেমোক্র্যাটরা, বলছে রয়টার্সের জরিপ Jun 21, 2025
img
নাম না জানা ভক্তের ফোনকল, ফেসবুকে প্রভার আগাম সতর্কবার্তা Jun 21, 2025
img
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ গেল ২ জনের Jun 21, 2025
img
ব্যঙ্গাত্মক ব্যানার-কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগে বিএনপির ৬ নেতাকে শোকজ Jun 21, 2025
img
‘সুপার্ব, সুপার্ব, সুপার্ব’, ‘স্টুপিড’ বিতর্ক ভুলে পন্থের সেঞ্চুরিতে মুগ্ধ গাভাসকর Jun 21, 2025
img
নতুন করে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা Jun 21, 2025
img
টাইগার নয়, এবার ভারতীয় সৈনিক হিসেবে পর্দায় ফিরছেন সালমান Jun 21, 2025
img
ভুয়া ভিসা নিয়ে যেভাবে ঢাকা থেকে ইমিগ্রেশন পার হলেন একসঙ্গে ৩০ জন Jun 21, 2025
img
ওএসডি হলেন শরীয়তপুরের সেই ডিসি Jun 21, 2025
img
ভারতের দালালদের বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করা হবে: মুফতি ফয়জুল করীম Jun 21, 2025
img
প্রীতমের সুর ও অরিজিতের কণ্ঠে প্রেমের চিঠি ‘অউর মহব্বত কিতনি কারু’ Jun 21, 2025
যে কারণে সৌদি যেতে চান না মেঘনা আলম Jun 21, 2025
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এনসিপির তিন নেতার পদত্যাগ Jun 21, 2025
লন্ডন বৈঠকের ফলে সব রাজনৈতিক হিসাব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে: গোলাম মাওলা রনি Jun 21, 2025