ইরানে মার্কিন বিমান হামলার প্রতিক্রিয়া দেখাল সৌদি আরব ও পাকিস্তান

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সৌদি আরব। এক বিবৃতিতে এই হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, “ইরানের ঘটনাবলী, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় সৌদি আরব গভীর উদ্বেগের সাথে নজর রাখছে।”

বিবৃতিতে উভয় পক্ষকে “সংযম অনুশীলন”, উত্তেজনা হ্রাস এবং আরও উত্তেজনা রোধ করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেয়া হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে “রাজনৈতিক সমাধান” অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব।

এদিকে ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলার পর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান। এই হামলার পর আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে, উল্লেখ করে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি।

পাকিস্তান বলছে, আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি যে এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সব নিয়ম লঙ্ঘন করে করা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘ সনদের অধীনে ইরানের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার রয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার এবং অবিলম্বে সংঘাতের অবসানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে, সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে আহ্বানও জানিয়েছে শেহবাজ শরিফের দেশ।

প্রসঙ্গত, রোববার (২২ জুন) রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বোমারু বিমান। পরে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলাকে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ বলে মন্তব্য করেন। 

এ সময় ইরানকে সতর্ক করে ট্রাম্প বলেন, "হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য আরও অনেক বড় ট্র্যাজেডি হবে যা আমরা গত আট দিনে দেখেছি। মনে রাখবেন, এখনও অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি আছে। আজ রাতটি ছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন এবং সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক। কিন্তু যদি শান্তি দ্রুত না আসে তবে আমরা নির্ভুলতা, দ্রুততা এবং দক্ষতার সাথে অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে যাব।"

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘এ হামলার উদ্দেশ্য ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা শেষ করে দেয়া। সন্ত্রাসের মদদদাতা বিশ্বের এক নম্বরে থাকা দেশটির পারমাণবিক হুমকি থামিয়ে দেয়া।’

আরএম/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভারতে প্রবেশের সময় বেনাপোলে আ.লীগ নেতা আটক Jun 22, 2025
দলের স্বার্থে নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান Jun 22, 2025
img
মার্কিন হামলার পর ইরানকে শান্তির বার্তা মোদির Jun 22, 2025
img
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনে বিসিবির কাউন্সিলর হচ্ছেন ফাহিম Jun 22, 2025
img
জুলাই গণহত্যার বিচারে পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা Jun 22, 2025
img
পুতিনের প্রস্তাব নাকচ করে বিপদে ইরান Jun 22, 2025
img
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পর সংক্ষিপ্ত ভাষণে যা বললেন ট্রাম্প Jun 22, 2025
img
ফের ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে দিল্লি গেলেন অভিনেত্রী কারিশমা Jun 22, 2025
img
জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের বিষয়ে ছাড় দেবে এনসিপি Jun 22, 2025
img
সিরাজের মৃত্যুতে ভেঙে পড়লেন সায়ন্তিকা, সান্ত্বনায় পাশে মিমি Jun 22, 2025
img
চলতি মাসের শেষেই বরখাস্ত হচ্ছেন হামজাদের কোচ নিস্টেলরয় Jun 22, 2025
গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আটকে আদোলন যা বলছেন ডিসি মাসউদ আলম Jun 22, 2025
img
সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে Jun 22, 2025
img
আওয়ামী লীগের চেহারাও দেখা পাপ : আমিনুল হক Jun 22, 2025
img
দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ১ জনের, হাসপাতালে ভর্তি ৩২৯ Jun 22, 2025
img
সাত পুলিশ সুপারকে বদলি, তালিকা প্রকাশ Jun 22, 2025
২৫ তারকার ব্যাংক হিসাব জব্দ, কর ফাঁকির অভিযোগে উত্তাল শোবিজপাড়া Jun 22, 2025
সঞ্জয় কাপুরের শেষযাত্রায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রিয়া, হাসিতে সমালোচিত কারিশমা Jun 22, 2025
জাতীয় পার্টির সম্মেলন ঘিরে তীব্র বিরোধ, গঠনতন্ত্রেই মূল সঙ্কট Jun 22, 2025
img
ট্রাম্প চান শান্তি , ইরানকে তার কথা শুনতে হবে: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী Jun 22, 2025