ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, ‘ইরান তো অন্যায় কিছু করেনি। পরমাণু অস্ত্র বানানোর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ইরানের ওপর হামলা চালানোর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। এর জন্য আমেরিকাই দায়ী। তারা পরমাণু চুক্তি ভঙ্গ, এমনকি চলমান আলোচনাও ভেস্তে দিয়ে সামরিক হামলা চালাল।’
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আজ রোববার ইসলামী দেশগুলোর জোট ওআইসির এক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সময় এসব কথা বলেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, ‘এটি (মার্কিন হামলা) জাতিসংঘের সনদের মৌলিক নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক আইনের একটি জঘন্য, গুরুতর ও অভূতপূর্ব লঙ্ঘন।’
আরাগচি আরও বলেন, ‘যুদ্ধবাজ ও আইনহীন মার্কিন প্রশাসন তার আগ্রাসনের বিপজ্জনক পরিণতির জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী। গণহত্যাকারী (ইসরায়েলি) সরকারের সাথে যোগসাজশে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর মার্কিন সামরিক আক্রমণ আবারও ইরানের শান্তিকামী জনগণের প্রতি আমেরিকার শত্রুতার মাত্রা প্রকাশ করেছে।’
এখনো আমেরিকার সঙ্গে বসে আলাপ করার কোনো সুযোগ রয়েছে কিনা, জানতে চাইলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে নয়। কূটনৈতিক আলাপের সুযোগ সবসময় খোলা থাকবে, তবে এখন সেটার সময় নয়। আমার দেশ আগ্রাসন আর আক্রমণের শিকার। আমাদের নিজেদের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পরমাণু হামলা চালিয়ে তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।’
আমেরিকা কূটনৈতিক প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করে আরাগচি বলেন, ‘আমরা কূটনীতির মাঝপথে ছিলাম। ইসরায়েল যখন হামলা চালায়, তখন আমরা আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার মাঝপথে ছিলাম। আর এবার আমরা ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছি। আর সেই সময়ই আমেরিকা হামলা চালাল। তারা সমঝোতার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তারা কূটনীতিতে বিশ্বাস করে না, তারা বিশ্বাস করে হুমকি ও চাপ প্রয়োগে। এটাই বড় দুর্ভাগ্য।’
এই সংঘাতে তুরস্ক হস্তক্ষেপ করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আরাগচি বলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছে। এই আলাপ বেশ ফলপ্রসূই ছিল। তুরস্ক চেষ্টা করছে কীভাবে ইসরায়লকে থামানো যায়। এই অঞ্চলের অন্যান্যদের সঙ্গেও তিনি আলাপ করেছেন।
এবার রাশিয়ার যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আরাগচি। সেখানে আগামীকাল সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর আলাপের কথা রয়েছে।
টিকে