ইসরায়েলের ওপর একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এই হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে।
বড় ধরনের এই হামলার পরই ইসরায়েলে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এর জেরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দক্ষিণ ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েল ইলেকট্রিক করপোরেশন (আইইসি) নিশ্চিত করেছে যে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র “কৌশলগত অবকাঠামো স্থাপনার” কাছে সরাসরি আঘাত লেগেছে। এর ফলে আশপাশের বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে আইইসি জানায়, “দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে আমাদের টিমগুলো এখনই ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে। এ সময় অবকাঠামোর মেরামত এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি অপসারণের কাজ চলছে, যা নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে।”
এদিকে, হামলার সময় প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে সাইরেন বাজতে থাকে, ফলে নাগরিকদের দীর্ঘ সময় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করতে হয়। ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩ জানায়, “ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এবারই ইসরায়েলিরা সবচেয়ে দীর্ঘ সময় আশ্রয়কেন্দ্রে কাটাল।”
এর আগে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ঘোষণা করে, তারা ইসরায়েলের ওপর একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানায়, এই হামলায় কঠিন ও তরল জ্বালানিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি এমন কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে, যা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে সক্ষম।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের পাঁচটি স্থানে — সাফাদ, তেল আবিব, আশকেলন, আশদোদ এবং বেইসানে — রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এই হামলার পর এখনও পর্যন্ত ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।
আরআর/টিকে