পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহ্যগত সম্পর্ক সুদৃঢ় করার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সোমবার (২৩ জুন) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর নবান্নে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। দীর্ঘ নয় বছর পর কোনো বাংলাদেশি হাইকমিশনার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেলেন।
অত্যন্ত উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাতে মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে চিরায়ত ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও অভিন্ন মূল্যবোধ কেন্দ্রিক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, তা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে বলে উল্লেখ করেন। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সঙ্গে তার যোগাযোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে গত ২৯ মে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ। দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের দায়িত্ব নেয়ার দেড় মাসের ব্যবধানে হাইকমিশনার তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
আর ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার মাস খানেকেরও কম সময়ের ব্যবধানে মমতার সাক্ষাৎ পেলেন হাইকমিশনার।
এর আগে দুই বাংলাদেশি হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান ও মোস্তাফিজুর রহমান দিল্লিতে দায়িত্ব পালনকালে মমতার সাক্ষাৎ চাইলেও তা পাননি। সেই হিসেবে দীর্ঘ নয় বছর পর কোনো বাংলাদেশি হাইকমিশনার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেলেন।
আরআর/টিকে