অন্যদের যখন বয়সের ভারে ম্লান হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তখন আক্কিনেনি নাগার্জুনা যেন সময়কে উল্টোভাবে ব্যবহার করছেন। ২০২৫ সাল তাঁর কাছে আরেকটি নতুন জন্মের মতোই। অনেকেই যখন পুরনো সাফল্যের গল্পে বাঁচেন, তখন নাগার্জুনা নিজের জন্য তৈরি করছেন একের পর এক নতুন চরিত্র, নতুন চ্যালেঞ্জ আর অভিনয়ের নতুন ব্যাখ্যা।
কুবেরা সিনেমায় এক নৈতিক দোলাচলে থাকা মানুষের ভূমিকায় তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে ভেতরের শক্তি আর ভঙ্গুরতা একসাথে প্রকাশ করা যায়। এই চরিত্রে তার সংযত অথচ জটিল অভিনয় দর্শক আর সমালোচক উভয়কেই মুগ্ধ করেছে। তেলুগু মূলধারার ছবিতে এমন গভীর চরিত্র প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে। গল্পের প্রশংসার সঙ্গে সঙ্গে নাগার্জুনার অভিনয়ও আলাদা করে আলোচনায় এসেছে। সবাই বলছেন, এটি শুধুমাত্র তার ফিরে আসা নয়, বরং অভিনেতা নাগার্জুনার নতুন করে জন্ম।
কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কুবেরা-র নরম সত্তা থেকে এক লাফে তিনি রূপ নিচ্ছেন কুলি সিনেমায় এক হাড়হিম করা খলনায়কের চরিত্রে। রজনীকান্তের বিপরীতে লোকেশ কানাগরাজের পরিচালনায় এই ছবির কাহিনি যেমন জটিল, তেমনি নাগার্জুনার চরিত্রও পুরো গল্পের মেরুদণ্ড। সিনিয়র তারকাদের নিয়ে যেসব প্রচলিত ধারণা আছে, তার এই রূপান্তর সেটাকেই চ্যালেঞ্জ করছে। ইতিমধ্যেই তার ভিলেন রূপ নতুনভাবে চর্চিত হচ্ছে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে।
এতসব চমকের মধ্যেই ভক্তদের জন্য আরও বড় সুখবর হচ্ছে নাগার্জুনার শততম সিনেমা। যদিও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবু শোনা যাচ্ছে, এই ছবিটি হতে যাচ্ছে একদম ব্যক্তিগত, আত্মজিজ্ঞাসার মতো এক গল্প। পুরো সিনেমার কেন্দ্রে থাকবেন তিনি একাই। হয়তো এটি হবে তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের সারসংক্ষেপের মতোই এক মাহাকাব্যিক উপস্থাপনা।
এইভাবে কুবেরা থেকে কুলি আর এবার নাগ১০০ — নাগার্জুনা প্রমাণ করছেন, বয়স তারকা হয়ে ওঠার পথে বাধা নয়। নিজের সীমারেখা ভেঙে, বারবার নতুন চরিত্রের জন্ম দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন ভারতের অন্যতম বহুরূপী আর সাহসী অভিনেতা। ২০২৫ সাল তাই শুধু তার ফেরা নয়, তার নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
কেএন/এসএন