সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে ‘জোরপূর্বক গুম’ ও ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’র (ক্রসফায়ার) অভিযোগ নিয়ে যে তদন্ত চলছে, সেই তদন্ত শেষ করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য প্রসিকিউশনকে দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করে এই সময়ের প্রসিকিউশনকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) প্রসিকিউশনের আবেদনে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। আদালতে তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম।
সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনামলে জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার (ক্রসফায়ার) অভিযোগে চলতি বছর ৬ জানুয়ারি এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের গ্রেফতার ও তাঁদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (তদন্ত প্রতিবেদন) দাখিলের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখ রাখা হয়। সেদিন প্রসিকিউশনের আবেদনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের সময় ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
ওই দিনও তা দাখিল করতে না পারায় ২৪ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।
আদেশের পর প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুমের মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। আমরা সময় চেয়েছিলাম। ট্রাইব্যুনাল দুইমাস সময় দিয়েছেন।’
গুমের সংখ্যা জানতে চাইলে এই প্রসিকিউটর বলেন, ‘গুমের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এখন বলতে পারব না। কারণ গুম কমিশন আছে, তারা সেটি তদন্ত করছে। তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় ইতিমধ্যে দুটি অন্তবর্তী প্রতিবেদন দাখিল করেছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি পেলে গুমের সংখ্যাটা বলা যাবে।’
শেখ হাসিনা ছাড়াও এই মামলার আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনজনের নাম প্রকাশ করেছে প্রসিকিউশন।
তারা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান।
এসএম/টিকে