ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে আগের মতোই অত্যাচার-খুন শুরু হয়েছে। আগে আমরা বলতাম, আওয়ামী লীগ জুলুম করে, এখন বিএনপি সেই কাজটি করছে। আগে আওয়ামী লীগের লোকজন যে সুরে কথা বলত, সেই সুরেই বিএনপি এখন কথা বলছে।’
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার উদ্যোগে এক গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘শুধু নেতার পরিবর্তন হয়েছে, নীতির পরিবর্তন হয়নি। আমরা নীতির পরিবর্তন চাই। তা না হলে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। আগে যে নামে চাঁদাবাজি হতো, শুধু নামের পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু চাঁদাবাজির পরিবর্তন হয়নি।ইসলামী আন্দোলনের প্রতীক হাতপাখার বিজয় হলে দেশের বিজয় হবে, মানুষের বিজয় হবে।’
এ সময় তিনি গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্যে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে মাওলানা আওলাদ হোসেন ও গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে মুফতি তৌহিদুল ইসলাম।
মুফতি ফয়জুল করীম দেশে ইসলাম শাসন বাস্তবায়নের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘তাহলে নারীরা শরিয়ত মেনে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন, হিন্দুরা কল্পনাতীত নিরাপত্তা লাভ করবেন, তারা বুক ফুলিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং চলাফেরা করতে পাারবেন।’
সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, মুহাম্মদ আনওয়ার উল ইসলাম আরিফ, মো. মাহবুবুর রহমান, মুফতি মাহমুদুল হাসান কাসেমী, মুফতি সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম, অ্যাড. মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, আহমাদ আলী, মোহা: আব্দুল মুত্তালিব মন্ডল, আমিুল ইসলাম বুলবুল, হাফেজ মাওলানা মো. খায়রুজ্জামান, মো. আকরাম হোসেন, মো. আওলাদ হোসাইন, মো. আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবুল কালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম শরিফ, শাহাজ উদ্দিন রিয়াদ প্রমুখ। গণসমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের জেলা সেক্রেটারি মুফতি আল আমিন বীন হোসাইন।
বক্তারা গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং দেশ ও ইসলামবিরোধী সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের প্রতিবাদ জানান।
কেএন/টিকে