রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা পুনর্বহাল করা হয়েছে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। পরে এ নিয়ে রাতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ আইনি লড়াই-সংগ্রাম করেছি। অবশেষে চলতি মাসের ১ জুন হাইকোর্টের সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ন্যায্যভাবে আমাদের সেই অধিকারকে ফিরে পেয়েছি।
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালার খাস মেহেরবানীতে জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’সহ নিবন্ধন আদালতের রায়ের সূত্রে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে অফিসিয়ালি ফিরে পেলাম। এজন্য মহান রব আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রাণ খুলে তৃপ্তির সঙ্গে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, কীভাবে জামায়াতে ইসলামীর মত একটি গণতান্ত্রিক নিয়মতান্ত্রিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ওপর পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার জুলুম চালিয়েছিল, আমাদের অধিকারগুলো কীভাবে কেড়ে নিয়েছিল সব ইতিহাস দেশবাসীর জানা আছে। ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে বৈধভাবে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধিত হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে আমাদের এই অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালের একটি রিট পিটিশনের সূত্র ধরে ২০১৮ সালে আদালতের এক আদেশে আমাদের নিবন্ধন বাতিল করেছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক এবং আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য এই আইনি লড়াই আমাদের দেশের বরেণ্য আইনজীবীরা সহযোগিতা করেছেন।
গণমাধ্যমের কর্মীরা সহযোগিতা করেছেন। ন্যায় ও ইনসাফের পক্ষে সংবাদ পরিবেশন করে জাতির সামনে বিবেককে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিকতার পেশার মহত্ত্বকে তুলে ধরেছেন এবং বহাল রেখেছেন। সেজন্য সকলকে শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা।
এ সময় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে জামায়াতের ইসলামীর পক্ষ থেকে দেশে বিদেশে সকল সুধী, শুভাকাঙ্ক্ষী, প্রবাসী এবং দেশি সকল মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এফপি/ টিকে