যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে পারেনি, মাত্র কয়েক মাসের জন্য এই কর্মসূচি পিছিয়ে দিয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুসারে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে একটি ‘নড়বড়ে’ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মধ্যে এমন তথ্য জানালো গোয়েন্দা সংস্থা।
মঙ্গলবারের শুরুতে, ইরান ও ইসরাইল উভয়ই ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেয়ার ইঙ্গিত দেয়। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কিছু সময় পরেই ইরানের বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে ইসরাইল।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির আগে ইরান-ইসরাইল সংঘাতের মধ্যেই তেহরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প সেই সময় দাবি করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা ফেলার পরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিনজন ব্যক্তির মতে, ট্রাম্পের প্রশাসনের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়নে এই দাবির বিরোধিতা করা হয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ ধ্বংস করা হয়নি এবং দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি, যার বেশিরভাগই মাটির গভীরে রয়েছে, মাত্র এক বা দুই মাস পেছানোর মতো ক্ষতি হয়েছে।
ইরান দীর্ঘদিন থেকেই বলে আসছে যে, তাদের পারমাণবিক গবেষণা শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক শক্তি উৎপাদনের জন্য, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য না।
অন্য একটি সূত্র বলছে, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, হামলায় দুটি স্থাপনার প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু ভূগর্ভস্থ ভবন ধসে পড়েনি।
প্রতিবেদনের সাথে পরিচিত একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তির বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, হামলার পরেও কিছু সেন্ট্রিফিউজ অক্ষত ছিল।
এছাড়া মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রশাসন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে তাদের সপ্তাহান্তে হামলা পারমাণবিক কর্মসূচিকে ক্ষয়ক্ষতি করেছে। যা ট্রাম্পের পূর্বের দাবির সাথে সাংঘর্ষিক। হামলার পর ট্রাম্প স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংসের দাবি করেন।
কেএন/এসএন