মুসলিম বিশ্বে বিভেদ সৃষ্টি করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল: পেজেশকিয়ান

মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য বিনষ্ট করে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল—এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান। গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এই মন্তব্য করেন তিনি।

ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে যুক্তরাষ্ট্র ও জায়নিস্ট ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠী মুসলিম জাতির মাঝে ফাটল ধরাতে চায়, যখন ইরান অঞ্চলজুড়ে শান্তি ও ঐক্যের প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সমর্থন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ থেকে স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অঞ্চলভিত্তিক সহযোগিতা রোধ করতেই এই ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।’

এই ফোনালাপ এমন এক সময়ে হয়, যখন ইসরায়েলের নেতৃত্বাধীন ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ১২ দিনের যুদ্ধের ফলে ইরানে ৬০০’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকরা।

পেজেশকিয়ান জানান, যেকোনো কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় তেহরান তার ‘ন্যায়সঙ্গত অধিকার’ নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি ও বৈধ প্রতিরক্ষা উদ্যোগে ইরান তার অবস্থানে অটল থাকবে এবং এ পথে বন্ধুপ্রতিম ও ভ্রাতৃপ্রতীম দেশগুলোর সহায়তা স্বাগত জানাবে।

ফোনালাপে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘ইসরায়েলের আগ্রাসনের শুরু থেকেই আমরা এর নিন্দা জানিয়ে আসছি।’ 

তিনি জানান, ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করতে রিয়াদ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে।

সৌদি যুবরাজ আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই, আমাদের অঞ্চল ইসরায়েলের আগ্রাসনের ঘাঁটি হবে না এবং কোনো মার্কিন ঘাঁটি থেকেও ইরানের বিরুদ্ধে হামলার অনুমতি দেওয়া হবে না।’

তিনি ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা বুঝি, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কেন এসেছিল।’

উল্লেখ্য, সোমবার ইরান কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর একদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র তিনটি শান্তিপূর্ণ ইরানি পরমাণু স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়।


ইউটি/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
আমরা ডিসিশন নিয়েছি শিমুলিয়াতে বন্দর করব : সাখাওয়াত হোসেন Jun 25, 2025
img
ভারত হারলেও ইংল্যান্ডে তিন ম্যাচের বেশি খেলবেন না বুমরাহ Jun 25, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ জার্মান রাষ্ট্রদূতের Jun 25, 2025
img
চায়না কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক বিএনপির Jun 25, 2025
img
দেশের স্বার্থে মৌলিক সংস্কারের প্রশ্নে বিন্দুমাত্র আপোস নয় : সারজিস Jun 25, 2025
img
ট্রাম্পের প্রশংসা করে চিঠিতে যে অনুরোধ জানাল ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট Jun 25, 2025
img
কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েই চতুর্থ স্ত্রীকে বাইকে ঘোরালেন নোবেল Jun 25, 2025
img
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার প্রস্তাব তারেক রহমানকে কেন্দ্র করেই : ফাহাম আব্দুস সালাম Jun 25, 2025
img
আমার সিক্স প্যাক মোটামুটি চলে এসেছে : জায়েদ খান Jun 25, 2025
img
বিজয়ের পারফরম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করতে চান না বুলবুল Jun 25, 2025
img
পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি আনতে গঠন করা হবে আলাদা টাস্কফোর্স Jun 25, 2025
img
‘গোপন প্রেমিকার’ সঙ্গে কোহলির ছবি ভাইরাল, কে এই ইসাবেলা? Jun 25, 2025
ইসরাইলের বিরুদ্ধে এবার জোট বাঁধল রাশিয়া-চীন-ভারত Jun 25, 2025
গুমে রাজি না হওয়া কর্মকর্তাদের তথ্যও যেত শেখ হাসিনার কাছে Jun 25, 2025
কেবল মে মাসেই খালাস ৮৮ শতাংশ মামলার আসামি! Jun 25, 2025
‘১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়’ প্রস্তাবে সম্মতি দিল বিএনপি Jun 25, 2025
আমরা এমন এক জাতি, কোনদিন ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবো না Jun 25, 2025
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নিয়ে যা বললো বিএনপি? Jun 25, 2025
নির্মাণে অনিয়ম; মহাখালীতে রাজউকের একাধিক উচ্ছেদ অভিযান! Jun 25, 2025
সেবার নামে বাড়তি খরচ, চট্টগ্রাম মেডিকেলে অভিযোগ তদন্তে অভিযান! Jun 25, 2025