কাতারের ভূ-খণ্ডে মার্কিন ঘাঁটিতে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির কাছে ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। গত সোমবার (২৩ জুন) ওই হামলা চালানো হয়।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) আমিরের সঙ্গে এক ফোনালাপে এ দুঃখ প্রকাশ করেন ইরানি প্রেসিডেন্ট। দিওয়ান (আমিরের কার্যালয়) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মঙ্গলবার আমিরের সঙ্গে এক ফোনালাপে, পেজেশকিয়ান উল্লেখ করেছেন, কাতারে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে হামলার লক্ষ্যবস্তু কাতার বা তার জনগণ কেউই ছিল না। এটি উপসাগরীয় দেশটির জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করে না।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘(পেজেশকিয়ান) জোর দিয়ে বলেছেন, কাতার রাষ্ট্র একটি প্রতিবেশী, মুসলিম এবং ভ্রাতৃপ্রেমী রাষ্ট্র হিসেবে থাকবে এবং আশা প্রকাশ করেছেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সর্বদা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা এবং প্রতিবেশীসুলভ আচরণের নীতির উপর ভিত্তি করে বজায় থাকবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, ইরান মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম মার্কিন ওই ঘাঁটিতে ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যার মধ্যে ১৮টি কাতারের প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রতিহত করেছে।
ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, রোববার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য সামরিক আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই শক্তিশালী এবং বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইরানের হামলার সময়, কাতারের রাজধানী দোহা এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ধারাবাহিক অগ্নিসংযোগ এবং বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। যদিও কাতারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, হামলার আগেই বিমানঘাঁটি খালি করে দেয়া হয়েছিল।
সূত্র: আল জাজিরা
আরআর/এসএন