‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু বন্ধ করতে হবে’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “জাতিসংঘ ঘোষিত নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসটি পালিত হয় ২৬ জুন। এই দিনটি পালনের মূল উদ্দেশ্য নির্যাতনের শিকারদের প্রতি সহমর্মিতা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

আমি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষ, জাতি ও গোষ্ঠীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”

তিনি বলেন, “আবহমানকাল ধরেই বিশ্বে দমন-পীড়ন চলছে। বর্বর একনায়করা বারবার গণতন্ত্র, মানবতা ও প্রগতির আদর্শকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিহিংসা ও দমন-পীড়নের শিকার হয়ে সাধারণ মানুষ নানা ধরনের নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যান্ত্রিক সভ্যতা যতই এগোক না কেন, মানবিকতা আজও পেছনে পড়ে আছে।”

গত বছর জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, “তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের ভয়াবহ দমননীতির কারণে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং হাজার হাজার ছাত্র-জনতা পঙ্গুত্ববরণ করেছে। ১৬ বছর ধরে আওয়ামী সরকারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কারণে গুম, কথিত বন্দুকযুদ্ধ ও শারীরিক নির্যাতনে বহু মানুষ নিহত হয়েছে। একদলীয় দুঃশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জনগণের ওপর একটি ভয়ঙ্কর ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”

তিনি অভিযোগ করেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”

বিবৃতির শেষ অংশে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি নির্যাতিতদের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছি—রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য ন্যায়সংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে আমি গণতন্ত্রকামী জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি—সব ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে আর কোনো নির্যাতন ও মৃত্যু চলতে দেওয়া যাবে না।”

এসএম/টিকে       

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ন্যাটো প্রধানের ‌‘ড্যাডি’ ডাক নিয়ে ট্রাম্পের বার্তা Jun 25, 2025
img
ডার্ক কমেডি থ্রিলার নিয়ে ফিরছেন নীল নিতিন মুকেশ ও দিব্যা খোসলা Jun 25, 2025
img
১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা Jun 25, 2025
img
মারা যাওয়ার আগে কী খেয়েছিলেন মাইকেল জ্যাকসন? Jun 25, 2025
img
পর্দা জুড়ে থাকছে যেসব চমকপ্রদ ছবি-সিরিজ Jun 25, 2025
img
ক্ষমতায় গেলে জামায়াতের প্রতিনিধিরা জনগণের সেবক হবেন : ডা. শফিকুর Jun 25, 2025
img
বিভ্রান্তিকর তথ্য মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ বের করুন, মেটাকে ড. ইউনূস Jun 25, 2025
img
মালয়ালম সিনেমায় কায়াদু লোহার-টোভিনোর নতুন জুটি Jun 25, 2025
img
রামায়ণে রণবীর কাপুর দেবতা রাম, সাই পল্লবী সীতা, মহা উন্মোচনের প্রস্তুতি Jun 25, 2025
img
ট্রাম্পের দাবি মেনে প্রতিরক্ষায় ব্যয় বাড়াতে সম্মত ন্যাটো দেশগুলো Jun 25, 2025
img
ইরানে ৭ শতাধিক গুপ্তচর গ্রেপ্তার, পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড Jun 25, 2025
img
ঢাকায় হবে দক্ষিণ এশীয় উচ্চশিক্ষা সম্মেলন, নেতৃত্বে থাকবে বাংলাদেশ Jun 25, 2025
img
ইরানের হামলায় বেন-গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় এখন ধ্বংসস্তূপ Jun 25, 2025
img
অপ্রয়োজনীয় মেগা অবকাঠামো ভেঙে ফেলা উচিত : বাণিজ্য উপদেষ্টা Jun 25, 2025
img
যে কারণে নিজের ছবিকে ‘ওয়ার্নিং’ বললেন অজয় Jun 25, 2025
img
কবে বসছেন ইরানের সঙ্গে, জানালেন ট্রাম্প Jun 25, 2025
img
জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা Jun 25, 2025
img
এক কাউয়া পালিয়ে গেছে, নতুন কাউয়াদের আবির্ভাব হয়েছে : প্রিন্স Jun 25, 2025
img
সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা Jun 25, 2025
img
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের আহ্বান আইজিপির Jun 25, 2025